Advertisement
Advertisement
Hijab Row

ইসলামে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়, বিতর্কের মধ্যেই আদালতে জানাল কর্ণাটকের বিজেপি সরকার

হিজাব বিতর্কে কড়া অবস্থান নিচ্ছে বিজেপি।

Hijab not an essential religious practice of Islam, Karnataka govt tells High Court | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 18, 2022 8:13 pm
  • Updated:February 18, 2022 8:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব (Hijab Row) পরা ইসলাম ধর্মে বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করলেও সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অবমাননা করা হচ্ছে না। ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে না। হিজাব নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই কর্ণাটক হাই কোর্টে জানালেন সেরাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।

Advertisement

Hijab not an essential religious practice of Islam, Karnataka govt tells High Court

কর্ণাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General) জানিয়েছেন,”এই নির্দেশিকা শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেই দেওয়া। দ্বিতীয় কথা হল, হিজাব কোনওভাবেই ইসলাম ধর্মের অপরিহার্য অংশ নয়। আমরা স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি, হিজাব পরাটা ইসলাম ধর্মের বাধ্যতামূলক অঙ্গের মধ্যে পড়ে না। তাছাড়া হিজাব পরাটাকে যে সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারা প্রদত্ত অধিকার বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটাও ঠিক নয়।”

[আরও পড়ুন: ১১ মার্চ বাজারে আসতে পারে LIC’র শেয়ার, দাম জানলে চমকে যাবেন]

প্রসঙ্গত, কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব (Hijab) পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারপর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া।

[আরও পড়ুন: ‘আমি বিশ্বের সবচেয়ে মিষ্টি সন্ত্রাসবাদী’, পাঞ্জাব ভোটের আগে বলছেন কেজরিওয়াল, কেন?]

সেই মামলার ভিত্তিতে গত সপ্তাহে একটি অন্তর্বর্তী রায় দেয় কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। আদালত জানিয়ে দেয়, যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে। আদালত জানায়, “ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। আমরা চাই রাজ্যে শান্তি ফিরুক। বিষয়টির যতদিন না নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন যেন কোনওরকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে। কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি না দেয়।” কর্ণাটক হাই কোর্টের এই রায়কে ‘অদ্ভুত’ বলে দাবি করে এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে এসএলপি বা স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (SLP) দাখিল করেছিলেন অ্যাডভোকেট দেবদত্ত কামাত। সেটি শীর্ষ আদালত খারিজ করে দিয়েছে। তাই আপাতত কর্ণাটক হাই কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় পড়ুয়ারা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement