Advertisement
Advertisement

করোনা রোগীদের হোম আইসোলেশন নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

কী কী নিয়ম জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক? জেনে নিন।

Health Ministry issues revised guidelines for home isolation
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 3, 2020 10:34 pm
  • Updated:July 3, 2020 11:09 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে করোনা রোগীদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এই নতুন নির্দেশিকা তাঁদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যাঁদের মধ্যে করোনার প্রাথমিক লক্ষ্মণগুলি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করে নতুন এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisement

নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-

১. কোনও করোনা রোগী কতটা আক্রান্ত হয়েছেন তা স্থির করবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার। ওই রোগ মাইল্ড করোনা হয়েছে কিনা, তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব ওই মেডিক্যাল অফিসারেরই।

২. এসব ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হোম আইসোলেশনে থাকার পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত থাকতে হবে। পরিবারের কোনও সদস্যের সংস্পর্শে আসা যাবে না। হোম আইসোলেশনের ক্ষেত্রে বাড়িতে যাবতীয় ব্যবস্থা থাকতে হবে।

[ আরও পড়ুন: এ কোন সমাজ! মহিলা খদ্দেরকে খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনসঙ্গম দোকানদারের ]

৩. HIV বা ক্যানসার আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন না। একইভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও হোম আইসোলেশনের নিয়ম খাটবে না।

৪. ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক, এমন ব্যক্তিরা যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, ফুসফুসের সমস্যা, যকৃত ও কিডনি রোগে ভোগেন তাঁরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সম্মতি প্রয়োজন।

৫. কোনও ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে থাকলে তাঁর সঙ্গে অতি অবশ্যই একজনকে থাকতে হবে। তিনি সবসময় (২৪x৭) রোগীর খেয়াল রাখবেন ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।

৬. ওই ব্যক্তি এবং করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাঁরা আসবেন প্রত্যেককে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিতে হবে।

[ আরও পড়ুন: ‘সাম্রাজ্যবাদী’ তকমা ভিত্তিহীন, মোদির কড়া মন্তব্যে জবাব চিনের ]

৭. রোগীর মোবাইলে অতি অবশ্যই আরোগ্যা সেতু অ্যাপ থাকতে হবে। //www.mygov.in/aarogya-setuapp/ থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে। সবসময় যেন এই অ্যাপ সচল থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য নেট কানেকশন জরুরি।

৮. রোগীকে প্রতিশ্রতি দিতে হবে যে নিয়মিত তিনি তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জেলার সার্ভিল্যান্স অফিসারকে জানাবেন। তিনি তাঁর টিমের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করবেন। মোটকথা প্রতিক্ষেত্রে আপডেট দিতে হবে রোগীকে।

৯. করোনা আক্রান্তকে হোম আইসোলেশনের সমস্ত নিয়ম মানতে হবে। যে চিকিৎসক তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকার অনুমতি দিচ্ছেন, তিনি নিজে যেন এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন। কোনও সন্দেহ থাকলে হেম আইসোলেশনে রোগীকে রাখা যাবে না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement