সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের রাজ্য গুজরাটে আইনি বিপাকে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান। ইউসুফকে ‘দখলদার’ তকমা দিল গুজরাট হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দিল, বরোদা পুরসভার জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন ইউসুফ। ওই জমি তাঁকে ফাঁকা করতে হবে। দরকার পড়ল পুরসভা বুলডোজার চালিয়ে ওই জমি খালি করাতে পারবে।
বরোদা পুরসভার অভিযোগ, ২০১২ সালে বরোদার তানাদালজা এলাকার একটি জমি কেনেন ইউসুফ পাঠান। তার লাগোয়া যে জমিটি, সেটিও কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু জমিটি পুরসভার। বরোদা পুরসভার তরফে পাঠানের এই জমি কেনার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে পুর বৈঠকে পাঠানের জমি কেনার প্রস্তাব পাশ হলেও, রাজ্য সরকারের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এর পরই জোরপূর্বক জমি দখল করেন ইউসুফ। পুরসভার ওই জমিতে পাঁচিলও তুলে দিয়েছেন তিনি।
পুরসভার তরফেও জমি জবরদখলের জন্য ইউসুফ পাঠানকে নোটিস পাঠানো হয়ে। বারবার জমি খালি করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি খালি করেননি। যদিও এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও উঠে এসেছে। ইউসুফ গত বছর বাংলা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জিততেই নতুন করে তাঁকে নোটিস পাঠায় পুরসভা। ইউসুফ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু বিচারপতি মউনা এম ভট্টের আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অবৈধ দখল করেছেন সাংসদ। তাই তাঁকে জমি খালি করতে হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউসুফ একজন জনপ্রতিনিধি এবং একই সঙ্গে সেলিব্রিটি। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের প্রভাব পড়ে সমাজের উপর। তাই তাঁর আইন মেনে চলা উচিত। উলটে তিনিই বেআইনি কাজ করছেন। গুজরাট হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূল সাংসদকে আর নোটিস পাঠাবে না পুরসভা। এরপর জমি খালি না করলে প্রয়োজনে বুলডোজার চালাতে পারবে পুরসভা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.