Advertisement
Advertisement
New GST Slab

জিএসটিতে বড়সড় পরিবর্তনে সায় মন্ত্রিগোষ্ঠীর, কমতে পারে ৯০ শতাংশেরও বেশি পণ্যের দাম

নতুন করকাঠামোয় মাত্র দুটি জিএসটি স্ল্যাব থাকছে।

Group of ministers approve new GST slabs

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 21, 2025 4:53 pm
  • Updated:August 21, 2025 4:53 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিএসটি ব্যবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল সরকার। বৃহস্পতিবার মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠকে জিএসটি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জিএসটি পরিষেবায় করের স্ল্যাবের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে গোষ্ঠী।  বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জিএসটি-তে পরিবর্তন এনে চার স্ল্যাব কমিয়ে দুই স্ল্যাব করার সিদ্ধান্তে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে জিএসটি নিয়ে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, “আমরা নেক্সট জেনারেশন জিএসটি সংস্কার আনছি, যা দেশের সর্বত্র করের বোঝা কমাবে। এবছরের দীপাবলিতে আমি আপনাদের জন্য ডবল উপহার নিয়ে আসব।” 

Advertisement

জিএসটি ২.০-তে এই ব্যবস্থা আরও সরলীকরণের মাধ্যমে সাধারণ পরিবার এবং ছোট ব্যবসার উপর থেকে চাপ কমানোর প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুসারে, আগে ১২ শতাংশ করের স্ল্যাবে থাকা ৯৯ শতাংশ পণ্য এখন পাঁচ শতাংশ করের স্ল্যাবে স্থানান্তরিত হবে। একইভাবে, ২৮ শতাংশ স্ল্যাবের আওতায় থাকা ৯০ শতাংশ পণ্য ১৮ শতাংশের স্ল্যাবে স্থানান্তরিত হবে। পুরনো কর কাঠামোয় মোট চারটি স্ল্যাব ছিল। এগুলি হল ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। নতুন ব্যবস্থায় ১২ এবং ১৮ শতাংশ্যের স্ল্যাব বাতিল হয়ে যাবে। বেশিরভাগ পরিষেবা পাঁচ এবং ১৮ শতাংশের স্ল্যাবে চলে আসবে। অন্যদিকে তামাকজাত পণ্যের উপর আলাদাভাবে ৪০ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। এগুলিকে ‘পাপ পণ্য’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে নতুন কাঠামোয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপর জিএসটির হার কমলে সাধারণ পরিবার, কৃষক এবং মধ্যবিত্তদের জীবনে স্বস্তি আসবে। ওষুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, পোশাক, জুতো এবং বেশ কিছু গৃহস্থালী পণ্য পাঁচ শতাংশ করের স্ল্যাবে স্থানান্তরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টেলিভিশন এবং অন্যান্য পণ্য আগের ২৮ শতাংশের পরিবর্তে ১৮ শতাংশ করের আওতায় আসবে। পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তর ক্রয়ক্ষমতা বাড়তে পারে। ফলে পণ্যের চাহিদা বাড়বে। পরোক্ষে বাড়বে উৎপাদন। যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর হতে পারে, এমনটাই মত অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

বৈঠকে স্বাস্থ্য ও জীবন বীমাকে জিএসটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অনুমোদিত হলে, সাধারণ মানুষকে আর তাদের প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি দিতে হবে না। এই ধরনের ছাড়ের ফলে প্রতি বছর সরকারি রাজস্ব প্রায় ৯,৭০০ কোটি টাকা হ্রাস পেতে পারে। গত বছর জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপর জিএসটি চাপানোর তীব্র প্রতিবাদ জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সরকার সদর্থক পদক্ষেপ না করলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভারত সরকারের কাছে আমাদের দাবি, জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম থেকে জিএসটি তুলে নিন। কারণ এগুলি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলির সঙ্গে জড়িত। জিএসটি বিষয়টি খারাপ কারণ, এটা মানুষের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে তার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। যদি জনবিরোধী জিএসটি সরকার তুলে না নেয় তবে আমরা এবার রাস্তায় নামতে বাধ্য হব।’

মন্ত্রী গোষ্ঠীর বৈঠকে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উত্তর প্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না, রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং, পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কর্ণাটকের রাজস্বমন্ত্রী কৃষ্ণ বাইরে গৌড়া এবং কেরালার অর্থমন্ত্রী কেএন বালগোপাল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ