সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় আট বছরের আসিফাকে গণধর্ষণ করে খুনের পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন মধ্যপ্রদেশের বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ও রাজ্য সভাপতি নন্দকুমার সিং চৌহ্বান। তিনি বলেন, ‘কাঠুয়া গণধর্ষণ ও খুনের পিছনে পাক গুপ্তচর ও এজেন্টদের হাত রয়েছে। ওরাই জয় শ্রীরাম বলে স্থানীয় মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। ভাগ করতে চাইছে।’
নিজের বক্তব্যের পক্ষে বিজেপি নেতার সাফাই, কাশ্মীরে হিন্দুরা আদতে সংখ্যালঘু। ফলে তাঁরা কোনওদিনই প্রকাশ্যে জয় শ্রী রাম বলে উল্লাস করতে পারেন না! বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের সময় কেউ যদি জয় শ্রী রাম বলে চিৎকার করে, তাহলে বুঝতে হবে এর পিছনে পাক এজেন্টদের স্পষ্ট হাত রয়েছে। ওরা মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। কাশ্মীরে এক শতাংশেরও কম হিন্দু থাকেন। তাঁরা ভয়ে নিজের মুখ পর্যন্ত খুলতে পারেন না। তাঁরা কী করে স্লোগান দেবেন?’ তিনি অবশ্য এও বলেন, ‘এই ঘটনা মানবজাতির পক্ষে কলঙ্কজনক।’
We have found a double pumpkin for the day; Nandakumar Chauhan, BJP MP from Khandwa says Asifa rape and murder is Pakistan ‘conspiracy’. Utterly crazy, shameless and insensitive remarks.
— Rajdeep Sardesai (@sardesairajdeep)
বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়েছে। আসিফার উপর নৃশংস অত্যাচার গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। দিকে দিকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। কোনও রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই মানুষ এই জঘন্য ঘটনার নিন্দায় মুখর হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে মোমবাতি হাতে মিছিলে হাঁটেন রাহুল গান্ধী। কেন এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন না বা এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছেন না, জানতে একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী চুপ করে রয়েছেন, আর তাঁর অনুগামীরা ভুলভাল বলে চলেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি আশ্বাস দিয়েছেন, কাঠুয়া কাণ্ডে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে সওয়াল করবে রাজ্য সরকার।
Finally a breakthrough in Rape case:
MP BJP Chief finds Pakistan link in rape and murder incident..— Encrypted Layman!! (@FreddieFaizan)
গত ১০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া গ্রাম থেকে আসিফাকে অপহরণ করে একদল দুষ্কৃতীরা। ওই দুষ্কৃতীদের মধ্যে ছিল স্থানীয় পুলিশকর্মীরাও। ছিল দুই নাবালকও। আসিফার মাথা পাথরে থেঁতলে মারার আগে নাকি এক পুলিশ অফিসার হত্যাকারীকে থামতে বলে। সে আর একবার ধর্ষণ করতে চায় আসিফাকে। চার্জশিট মোতাবেক, উত্তরপ্রদেশ থেকে এক ব্যক্তিকে ফোনে জম্মু ও কাশ্মীরে ডেকে আনা হয় লালসা চরিতার্থ করতে। ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে আসিফার দেহ উদ্ধার হয়। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে মেরুকরণের অভিযোগ ওঠে উপত্যকায়। এই ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছে বিজেপি নেতাদের একাংশ, ওঠে অভিযোগ। পরে অবশ্য দল অভিযুক্তদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সাঞ্জি রামের লক্ষ্য ছিল, রাসসানা এলাকা থেকে বাখরেওয়াল সম্প্রদায়কে হটানো। আর তাই বাখরেওয়াল সম্প্রদায়ের আসিফাকে শিকার বানিয়ে বাকিদের মনে ভয় ধরাতে চেয়েছিল। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নাম দীপক খাজুরিয়া, সুরেন্দর ভার্মা, পারভেশ কুমারু, সাঞ্জি রামের নাবালক ভাইপো ও সাঞ্জি রামের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাঠুয়ার একাংশের দক্ষিণপন্থী মানুষ আবার ধর্ষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ہم کبھی بھی دوسرے بچوں کو اس طرح کے حالات سے گزرنے نہیں دیں گے ۔ہم ایک نیا قانون لائیں گے جس میں معصوم بچوں کی عصمت دری میں ملوث افراد کے لئے موت کی سزا لازمی ہوگی ،تاکہ معصوم آصفہ کے بعد کوئی دوسری بچی درندگی کا شکار نہ بنے اور یہ اس نوعیت آخری واقعہ ہو ۔
2/2— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.