সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ারের পর এবার ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে ডোডা। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পাবানে এই অঞ্চলে ভেসে গেল বহু ঘরবাড়ি। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। বহু মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া, ডোডা, জম্মু, সাম্বা, রামবান এবং কিস্তওয়ার জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এর পর মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে ডোডায়। ভয়ংকর বৃষ্টির জেরে আসে হড়পা বান। যার জেরে এলাকার ১০টি বাড়ি ভেসে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জনের। পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ। তাউই নদীর জল বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।
পরিস্থতি এতটাই গুরুতর আকার নিয়েছে যে ভূমিধসের ভয়ে বন্ধ রাখা হয় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। ডোডা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। রাতভর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে। ধসপ্রবণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডোডার পাশাপাশি গুরুতর অবস্থা কাঠুয়া জেলার। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ডোডার ভাদেরওয়া অঞ্চলে ৯৯.৮ মিমি এবং জম্মুতে ৮১.৫ মিমি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট অতিভারী বৃষ্টির জেরে ভয়ংকর হড়পাবানের কবলে পড়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার। এখানকার চাসোটি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম শতাধিক। পাঁচশোর বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন বলেই আশঙ্কা। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বাতিল করেন স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.