সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণ মেটাতে না পারায় মা এবং তিন সন্তানকে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল মহাজনের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে। শুধু তাই নয়, মহিলার এক নাবালক সন্তানকে খুন করে মাটির নিচে পুঁতে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
কীভাবে এই ঘটনার সূত্রপাত? জানা গিয়েছে, চেনচাইয়া তাঁর স্ত্রী আনাকাম্মা এবং তিন সন্তানকে নিয়ে তিরুপতির প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করতেন। বেশ কয়েক মাস আগে চেনচাইয়া এক মহাজনের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক অনটনের জেরে তিনি তা মেটাতে পারেননি। টাকা না পেয়ে অবশেষে মহাজন গোটা পরিবারকে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখেন। কিন্তু কিছু দিন পর আচমকা চেনচাইয়ার মৃত্যু হয়। যদিও মহাজনের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর স্ত্রী-সন্তান। বেশ কিছুদিন চলার পর অবশেষে আনাকাম্মা টাকা জোগার করতে সক্ষম হন। ১০ দিন সময় চান মহাজনের কাছ থেকে। কিন্তু পরিবর্তে মহাজন শর্ত রাখেন, মহিলার এক সন্তানকে তাঁর কাছে ‘বন্ধক’ রাখতে হবে। উপায় না পেয়ে রাজি হতে হয় মহিলাকে। কিন্তু ফিরে এসে তিনি সন্তানের আর কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। মহাজন জানান, নাবালকের জন্ডিস হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। এরপরই আনাকাম্মার সন্দেহ হয় এবং তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে তামিলনাড়ুর কাচিপুরম থেকে নাবালকের দেহ উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। তারপরই ওই মহাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের এক কর্তা বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে নাবালককে প্রথমে হাসপাতালের পথে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরে তাকে অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে মাটির নিচে পুঁতে দেওয়া হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.