সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরুষশাসিত সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন কাঞ্চন চৌধুরি ভট্টাচার্য। দেশের প্রথম মহিলা ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ নিযুক্ত হন এই আইপিএস। যে সময় ভারতীয় মেয়েদের অধিকাংশই হেঁসেলের গণ্ডিতে আটকে ছিলেন, সেসময় পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেন কাঞ্চন। ধীরে ধীরে পৌঁছে যান সাফল্যের শীর্ষে। সোমবার দিল্লির বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ। শোকপ্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
प्रदेश की पूर्व DGP श्रीमती कंचन चौधरी भट्टाचार्य, 1973 बैच की IPS अधिकारी, जो कुछ समय से बीमार चल रही थी, के निधन पर उनके परिजनों के प्रति शोक संवेदना व्यक्त करते हुए उत्तराखंड पुलिस में उनके द्वारा दिए गए अभूतपूर्व योगदान को याद करती है।
Advertisement— Uttarakhand Police (@uttarakhandcops)
Saddened to know about the passing away of the country’s first woman DGP Ms Kanchan Chaudhary Bhattacharya.
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal)
She remained active in public life after her retirement and wanted to serve the country till her very last.
Will miss her. RIP
কাঞ্চন চৌধুরি ভট্টাচার্যের জন্ম হয় স্বাধীনতার ১১ দিন পর। অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ২৬ আগস্ট। হিমাচলে জন্ম হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা দিল্লি এবং অমৃতসরে। কলেজ জীবন শুরু হয় অমৃতসরের গভর্নমেন্ট কলেজ ফর ওমেন-এ। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান কাঞ্চন। অস্ট্রেলিয়া থেকে লাভ করেন বিজনেস অ্যাডিমিনিস্ট্রেশনের ডিগ্রি।
কাঞ্চনের ছোটবেলায়, এক সম্পত্তি কেনাবেচা সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তাঁর বাবা মোহন চৌধুরি। প্রকাশ্যে তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়। অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা নিতে রাজি হয়নি। তখনই কাঞ্চন ঠিক করে ফেলেন, তিনি পুলিশ অফিসার হবেন।
১৯৭৩ আইপিএস ব্যাচের দ্বিতীয় সদস্য ছিলেন তিনি। কিরণ বেদীর পর ইনিই দেশের দ্বিতীয় আইপিএস অফিসার। প্রথম আইপিএস হিসেবে উত্তরপ্রদেশে কাজ শুরু করেন কাঞ্চন। প্রথম মহিলা হিসেবে বারেলির ডেপুটি জেনারেল ইন্সপেক্টর নিযুক্ত হন কাঞ্চন, প্রথম মহিলা হিসেবে উত্তরাঞ্চলের অতিরিক্ত ডিজিপি নিযুক্ত হন তিনি। ২০০৪ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি নিযুক্ত হন কাঞ্চন। ২০০৪ সালেই ইন্টারপোলের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। মোট ৩৩ বছর দেশসেবা করেছেন কাঞ্চন।
২০০৭ সালে অবসরের পর রাজনীতিতেও যোগ দেন তিনি। ২০১৪ নির্বাচনে আম আদমি পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন হরিদ্বার কেন্দ্র থেকে। যদিও নির্বাচনে সাফল্যে আসেনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশের পুলিশমহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.