Advertisement
Advertisement

সন্তান জন্ম দিতে না পারায় মহিলাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামী ও শাশুড়ির

পুলিশি তৎপরতায় কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন তিনি।

Family tried to cremate woman alive

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 22, 2019 9:22 pm
  • Updated:January 22, 2019 9:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের পর সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি। এমন গুরুতর ‘অপরাধ’-এর শাস্তি পেতে হল মহিলাকে। জ্য়ান্ত অবস্থায় তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তবে পুলিশি তৎপরতায় কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন তিনি।

Advertisement

[নতুন পাসপোর্টে থাকবে ই-চিপ, প্রবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]

ঘটনা বিহারের রাজধানী পাটনার থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরের আরা এলাকার। সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় স্বামী ও শাশুড়ির হাতে দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বছর পঁয়ত্রিশের লক্ষ্মীদেবী। সোমবার স্থানীয়রা কোনওভাবে খবর পেয়ে যান, যে ওই মহিলাকে মেরে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাচ্ছে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। সময় নষ্ট না করে পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। আর তাতেই রক্ষা পায় মহিলার জীবন। তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।

২০০১ সালে রবীন্দ্র ঠাকুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লক্ষ্মীদেবীর। কৃষক স্বামী বিরুদ্ধে নির্যাতিতার অভিযোগ, সন্তান দিতে না পারায় তাঁর উপর প্রতিদিনই শারীরিক অত্যাচার চালানো হত। অসুস্থ হলেও তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেত না স্বামী। সোমবারও স্বামীর অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়েন লক্ষ্মীদেবী। বেধড়ক মার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। তারপর তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে, তাঁর মনে নেই। চোখ খুলে দেখেন তিনি হাসপাতালে। পুলিশের ধারণা, লক্ষ্মীদেবী অচেতন হয়ে পড়লে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভাবে তিনি মারা গিয়েছেন। তাই তাঁকে পুড়িয়ে ফেলতেই নদীর চরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সমাজকর্মীরাও। স্বামী ও শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement