Advertisement
Advertisement
এনসেফালাইটিস

বিহারে এনসেফালাইটিস ৪৩ জনের মৃত্যু, নির্বিকার প্রশাসন

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিহার যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

Nitish Kumar Govt Claims Children Died of Low Blood Sugar.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 13, 2019 8:23 pm
  • Updated:June 23, 2019 5:55 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে এনসেফালাইটিসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩। এর মধ্যে বুধবার মারা যায় দুটি শিশু। যদিও তাদের এনসেফালাইটিসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মানতে চাইছে না রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। উলটে তাদের দাবি, লো ব্লাড প্রেসারের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই কিশোরী বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন- মহাকাশ গবেষণায় নয়া বিপ্লব, প্রথম স্পেস স্টেশন তৈরি করতে চলেছে ভারত]

ওই শিশুদের মৃত্যু এনসেফালাইটিস হয়েছে বলে মানতে নারাজ মুজফ্ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সুপার সুনীল কুমার সাহি। তিনি জানান, যে কজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাদের বেশিরভাগের রক্তে শর্করার পরিমাণ প্রচণ্ড কমে গিয়েছিল। এই রোগটিকে হাইপাগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্ত করতে ডাঃ অরুণের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এপ্রসঙ্গ ডাঃ অরুণ বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিবকে রিপোর্ট জমা দেব আমরা। তবে খুব জটিল ধরনের এনসেফালাইটিসের আগে অনেক উপসর্গ দেখা যায় রোগীদের মধ্যে। তাদের মধ্যে একটি হল হাইপোগ্লাইসেমিয়া। যদিও আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি।”

যদিও মুজফ্ফরপুর জেলা প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১ জুন থেকে ১১৭ জনের শরীরে অ্যাকিউট এনসেফালাইটিসের উপসর্গ ধরা পড়েছে। তার মধ্যে দু’জন শিশু-সহ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ২৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ছ’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের এখনও চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে এনসেফালাইটিস আক্রান্ত সন্দেহে গত ১ তারিখ থেকে বেসরকারি কেজরিওয়াল হাসপাতালে ভরতি হয়েছে ৫৫ জন। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত সাতটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন- চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রভাব ভিনরাজ্যেও, শুক্রবার দেশজুড়ে কর্মবিরতি এইমসে!]

এপ্রসঙ্গে বিহার স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, কেন্দ্রের তরফে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার মুজফ্ফরপুর গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবেও মুজফ্ফরপুর যাবেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ