সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনকড়ের আচমকা ইস্তফা দেওয়া নিয়ে বিতর্ক চলছে, তার মধ্যেই বুধবার নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। ২৩ জুলাই, বুধবার এই বিষয়ে বিজ্ঞাপ্তি জারি হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এরপর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। খুব শিগগির নির্বাচন হবে বলেই জানানো হয়েছে।
নির্বাচনের কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ তৈরির কাজ চলছে। (লোকসভা এবং রাজ্যসভার নির্বাচিত এবং মনোনীত সাংসদদের নিয়েই ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত হয়।) এখনও পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার চূড়ান্ত হয়নি। এই বিষয়েও কাজ চলছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অতীতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তথ্যাবলী খতিয়ে দেখছে কমিশন। উল্লেখ্য, উপরাষ্ট্রপতি পদে পাঁচ বছরের সময়কাল শেষ করেননি ধনকড়। দু’বছর আগেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। ধনকড়ের উত্তরসূরি অবশ্য পূর্ণ মেয়াদে অর্থাৎ কিনা পাঁচ বছরের জন্যই ওই পদে বসবেন।
এদিকে কে বসবেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তালিকায় উঠে আসছে একাধিক নাম। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, উপরাষ্ট্রপতি পদ ফাঁকা হলে ৬ মাসের মধ্যে সরকারকে এই পদে নির্বাচন করাতে হয়। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যিনি ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁকেই উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামাল দিতে হয়। ফলে নির্বাচন না হলে আগামী ৬ মাস হরিবংশকেই সামলাতে হবে সব দায়িত্ব। যদিও তার আগেই পাকাপাকিভাবে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসান হতে পারে নীতীশ ঘনিষ্ঠ এই জেডিইউ নেতাকে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিহারকে খুশি করতে নীতীশের প্রিয়পাত্র হরিবংশের ঝুলিতে যেতে পারে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ।
যদিও একা হরিবংশ নন, সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে আরও একাধিক নাম। রাজনৈতিক শিবিরের জল্পনা রাজনাথ সিংকে দেওয়া হতে পারে এই পদ। কারণ আরএসএসের তরফে ৭৫ বছরে অবসরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে রাজনাথ সিং-এর নাম উঠে আসতে শুরু করেছে। তাই তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসিয়ে নরেন্দ্র মোদির পথের কাঁটা সরানো হতে পারে। তালিকায় উঠে আসছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নামও। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরাসরি উপরাষ্ট্রপতি পদে এনে, বিহারে বিজেপির মুখ বসাতে তৎপর গেরুয়া শিবির। সোশাল মিডিয়ায় এই আকাশ কুসুম জল্পনায় উঠে আসছে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নামও। এই পদের জন্য তাঁকে অন্যতম যোগ্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে শশীকে। জল্পনা ছড়িয়েছে হয়ত বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে খাতায় কলমে কংগ্রেস সাংসদ শশীকে এই পদে বসিয়ে গণতান্ত্রিক হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে বেনজির পদক্ষেপ নিতে পারে মোদির সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.