সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিতর্কের মাঝে তৃণমূলের চাপের মুখে নতিস্বীকার। ভোটার তালিকা থেকে ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর আগামী ৩ মাসের মধ্যে সরানো হবে বলেই জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর আগে কমিশনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, একই এপিক নম্বরে একাধিক ব্যক্তির নামে ভোটার কার্ড থাকা মানেই তাঁরা ভুয়ো ভোটার নন।
রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রথমবার ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা সমাবেশ মঞ্চ থেকেও একই ইস্যুতে সরব হন তিনি। দাবি করেন, ভুয়ো ভোটারদের ব্যবহার করে ভোট বাড়িয়ে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচন কমিশনের ‘আশীর্বাদে’ বিজেপি নেতারা এই কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। তারই মাঝে আবার কমিশন বিবৃতি জারি করে। জানিয়ে দেয়, একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার কার্ড থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কাউকে ‘ভুয়ো’ ভোটার বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবে না।
যদিও তৃণমূল এই যুক্তি মানতে নারাজ। আধার কার্ড, পাসপোর্টের মতো ভোটার কার্ডেও ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নয় কেন, সে প্রশ্ন তোলে রাজ্যের শাসক শিবির। গত বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দপ্তরে যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ঘুমন্ত’ কমিশনকে জাগাতে তৃণমূলের এই অভিযান বলেই দাবি করেন তাঁরা। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতিস্বীকার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। আগামী ৩ মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধান করা হবে বলেই আশ্বাস কমিশনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.