সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যপ্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের একাধিক পদক্ষেপে অখুশি ছিল কেন্দ্র। একাধিক সূত্রের দাবি তেমনটাই। তবে সেই অসন্তোষ সবচেয়ে বেশি যে ইস্যুটিতে ছিল, সেটি হল বিচারপতি বর্মার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব সরকারকে না জানিয়ে গ্রহণ করা।
মঙ্গলবার দুটি কাণ্ড ঘটান ধনকড়। এক বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে অপসারণের প্রস্তাব গ্রহণ। দুই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে সরকার পক্ষের কোনও নেতার আগে বলার সুযোগ দেওয়া। কেন্দ্র চাইছিল ওই ইমপিচমেন্টের গোটা প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিতে। যাতে বিচারব্যবস্থার অন্দরের দুর্নীতি তুলে ধরা যায়। সেই লক্ষ্যে লোকসভায় শাসক ও বিরোধী দলের সাংসদদের সম্মিলিত একটি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় লোকসভার স্পিকারের কাছে।
সমস্যা হল, লোকসভায় ওই প্রস্তাব জমা পড়ার আগেই রাজ্যসভায় জগদীপ ধনকড় বিচারপতি যশবন্ত বর্মার ইমপিচমেন্ট নিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ওই প্রস্তাবটি আবার এনেছিল বিরোধীরা। সরকারকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ওই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব গ্রহণ করেন ধনকড়। যার ফলে সমস্যা দাঁড়াচ্ছে, ওই প্রস্তাব খারিজ বা প্রত্যাহার না হলে লোকসভার প্রস্তাবটি নিয়ে এগোনো যাচ্ছে না। সে কারণেই ওই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটি প্রত্যাহারের কথা ভাবছে কেন্দ্র। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বিজেপির শীর্ষস্তরে আলোচনা হয়েছে। ওই প্রস্তাবটিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে খারিজ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। সমস্যা হল, সেটা আবার দৃষ্টিকটু দেখাবে। এর বিকল্প কোনও আইনি সংস্থান আছে কিনা, সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে।
এমনিতে তিনি মোদি-শাহের অনুগত হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন বিজেপি নেতৃত্বের আনুগত্যের পুরস্কারস্বরূপই উপরাষ্ট্রপতির পদপ্রাপ্তি। সমস্যা হল, উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর একাধিক ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনচেতা’ হয়ে গিয়েছিলেন ধনকড়। সম্ভবত সে কারণেই তাঁকে তড়িঘড়ি ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ধনকড় ‘স্বাধীনচেতা’ হয়ে যে ‘ভুলগুলি’ করেছিলেন সেগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই বিচারপতি বর্মার অপসারণ প্রস্তাব গ্রহণ। সেই ভুল শুধরে নিতে মরিয়া সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.