Advertisement
Advertisement

প্রবল যৌন ইচ্ছায় কাতর রাম রহিম, জানালেন জেলের চিকিৎসকরা

ভিনদেশ থেকে আনা সেক্স টনিক নিয়মিত খেত বাবা।

Dera chief Ram Rahim is a sex addict, says jail doctor
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 11, 2017 8:37 am
  • Updated:September 11, 2017 8:37 am   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গারদের ওপারে প্রায় ১৫ দিন কাটতে চলেছে ধর্ষক বাবা রাম রহিমের। এখনও তিনি বিতর্কের শিরোনামে। জেলের মধ্যে বারবার নাকি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বাবা। পরীক্ষা করে জেলের চিকিৎসকরা জানালেন, আসলে বাবা প্রচণ্ড যৌনকাতর। সেকারণেই নানা সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

ইউনিফর্ম না পরার শাস্তি, ছেলেদের টয়লেটে ঠায় দাঁড়িয়ে ছাত্রী ]

বাবার যৌন কীর্তি আর গোপন নেই। ধর্ষণের মামলায় জেল খাটছে রাম রহিম। আর ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে রীতিমতো দেখা মিলেছে যৌন সাম্রাজ্যের। শুধু দুই সাধ্বীকে ধর্ষণ নয়, দিনের পর দিন সাধ্বীদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হত বাবা। তার জন্য নাকি রুটিনও ছিল। পিতা কি মাফি- এই ছিল কোড। এই কথারই মানে হচ্ছে কোনও সাধ্বীকে বাবার যৌনসঙ্গী হতে হবে। তার ডেরায় মিলেছে কন্ডোম আর গর্ভনিরোধকের পাহাড়। এমনকী বাবার যৌনসঙ্গী হতে রাজি না হলে সাধ্বীদের খুন করা হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। নিজের ডেরায় জলের তলায় যৌনতা উপভোগের জন্য সেক্স গুহাও বানিয়ে ফেলেছিল বাবা। এখানেই শেষ নয়। যৌনতার কীর্তি তার অফুরান। নিজের দত্তক মেয়ে হানিপ্রীতের সঙ্গেও বাবার যৌন সম্পর্ক ছিল বলেই জানা গিয়েছে। এই অভিযোগ করেছিলেন হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী। কার্যত তা সত্যি বলেই প্রমাণিত হয়েছে। জেলে যাওয়ার আগের মুহূর্তে হানিপ্রীতকে সঙ্গে রাখার গোঁ ধরেছিলেন বাবা। প্রত্যাশিতভাবেই জেল কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। এর মধ্যে উধাও হয়েছে হানিপ্রীত। তার নামে জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস। এদিকে হানিপ্রীত নেপালে চলে গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। নেপালের থানায় থানায় তাই ঝোলানো হয়েছে হানিপ্রীতের ছবি।

[ ভণ্ড বাবা হইতে সাবধান, তালিকা বানালেন সাধুরাই! ]

এদিকে জেলের মধ্যে বারবার নাকি অসুস্থ হয়ে পড়ছে রাম রহিম। তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য আসেন জেলের ডাক্তারবাবুরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, আসলে রাম রহিম অতিমাত্রায় যৌনকাতর। পরিভষায় যাকে বলা হয় নিমফোম্যানিয়াক। এদিকে জেলে যৌনতার কোনও উপায় নেই। তারই উইথড্রয়াল সিনড্রম হিসেবে রাম রহিমের শারীরিক অস্বস্তি হচ্ছে। বাবা ড্রাগে আসক্ত কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে বিদেশ থেকে আনানো সেক্স টনিক খেত রাম রহিম। জেলের চৌহদ্দিতে এই নিয়মের কোনও কিছুই নেই। আর তাই ক্রমাগত কাতর হয়ে পড়ছে বন্দি। ইতিমধ্যেই জেলের ডাক্তাররা তার চিকিসা শুরু করেছে। এখনই সঠিক চিকিসা না হলে রাম রহিমের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলেই বিশ্বাস চিকিসকদের।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস