রাজধানী দিল্লিতে মাস্ক তৈরির কারখানায় ভয়াবহ আগুন, মৃত ১

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অগ্নিকাণ্ড রাজধানী দিল্লিতে (Delhi)। শনিবার ভোরে রাজধানীর মায়াপুরি এলাকায় একটি মাস্ক তৈরির  কারখানায় আগুন লাগে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: স্রেফ বান্ধবীকে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়ে ‘লাভ জেহাদ’ আইনে আটক কিশোর! বিতর্ক যোগীরাজ্যে]

Delhi: One dead and two rescued after a fire that broke out at a mask manufacturing unit in Mayapuri, today morning. More details awaited.

আরও পড়ুন:

• ‘ছোট্ট’ দাবি বড় শরিকের, বড় দাবি ছোট শরিকের, বিহারের রফাসূত্র খুঁজতে নীতীশের সঙ্গে বৈঠকে শাহ
• রাখে হরি মারে কে! ১৬ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে আটকে থেকে জীবিত উদ্ধার যুবক

Advertisement

— ANI (@ANI)

আরও পড়ুন:

• ‘জেন জি জাগলে, দেশ ছেড়ে পালাতে হবে কংগ্রেস নেতাদের’, রাহুলকে তোপ বিজেপির
• পুদুচেরিতে দূষিত জল পান করে ৬ জনের মৃত্যু, সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে মায়াপুরির কারখানাটি থেকে গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেন তাঁরা। তারপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজ শুরু হলে প্রাণে রক্ষা পড়েন করখানায় আটকে থাকা দুই ব্যক্তি। তবে ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যেহেতু কারখানাটিতে মাস্ক তৈরি হত, তাই প্রচুর পরিমাণে কাপড় ও প্লাস্টিকের মতো পদার্থ মজুত ছিল সেখানে। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দমকল সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তের পর শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। রাজধানীর রানি ঝাঁসি রোডের আনাজ মান্ডির চারতলার বিল্ডিংয়ের ওই ব্যাগ কারখানায় আগুন লাগে। সেই সময় কারখানার ভিতর ঘুমাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। আচমকা আগুনের স্ফুলিঙ্গে ঘুম ভাঙে তাঁদের। চোখ খুলেই দেখেন ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের মোট ৩০টি ইঞ্জিন। কিন্তু ৪৩ জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তারপর থেকেই একাধীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয় প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ, ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে থাকা অধিকাংশ কারখানা ও অন্যান্য ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলিতে আগুন নেভানোর বা সমস্য থাকতে সুরক্ষিত এলাকায় যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে উদ্ধারকাজ রীতিমতো কঠিন হয়ে ওঠে।

[আরও পড়ুন: স্রেফ বান্ধবীকে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়ে ‘লাভ জেহাদ’ আইনে আটক কিশোর! বিতর্ক যোগীরাজ্যে]