সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতটা প্রয়োজন ছিল তার থেকে চার গুণ বেশি অক্সিজেন (Oxygen) চেয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। গত এপ্রিলে দেশজুড়ে চলতে থাকা করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এভাবেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অক্সিজেন চাওয়ার অভিযোগে উঠল দিল্লির (Delhi) প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টের গঠন করা অক্সিজেন অডিট কমিটির রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
গত এপ্রিল-মে মাসে দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। হাসপাতালে বেডের ঘাটতি ও মেডিক্যাল অক্সিজেনের অভাবের কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতোই দিল্লিতেও ভয়ংকর ছবি দেখা গিয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, সেখানে অক্সিজেনের অভাবের কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য করোনা রোগী। অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল অক্সিজেনের ঘাটতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। বিষয়টা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত দিল্লির হাই কোর্টের মধ্যস্থতায় কেন্দ্র দিল্লির অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। অন্য রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ অক্সিজেনের ভাগও দেওয়া হয় দিল্লিকে।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের কমিটির অডিট রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দিল্লি সেই সময় প্রয়োজনের থেকে চার গুন অক্সিজেন দাবি করেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সময়কালে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন লেগেছিল দিল্লির। কিন্তু কেজরিওয়াল সরকার দাবি করেছিল ১২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। এর ফলে অন্য ১২টি রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছিল বলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
দিল্লির হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের ভয়াবহ ঘাটতির অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড় সিং ও এমআর শাহের নির্দেশে ১২ সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্স গঠিত হয়। সেই টাস্ক ফোর্সকেই একটি অডিট রিপোর্টও তৈরি করতে বলা হয়।
টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, কয়েকটি হাসপাতাল বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে সময়কালে দিল্লিতে অক্সিজেনের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল। সেই সময় কেজরিওয়ালদের দাবি ছিল ১১৪০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। কিন্তু ভ্রম সংশোধনের পরে সেই চাহিদা নেমে আসে ২০৯ মেট্রিক টনে।
অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘাটতি যাতে না তৈরি হয়, সেজন্য দেশের ১৮টি মেট্রো শহরকে অক্সিজেনের বিষয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার পরামর্শ দিয়েছে টাস্ক ফোর্স। তাদের মতে, এই শহরগুলিতে অন্তত ১০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের জোগান সব সময়ই থাকা উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.