বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ‘আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে’–কিন্তু ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি’। সে উল্টোপথে হাঁটবেই। বিজেপি শাসিত দিল্লির এখন সেই অবস্থা। মদ দুর্নীতি নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মদ নিয়েই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার সরকারের সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিয়েছে রাজধানীতে। শুরু হয়েছে বিতর্ক। সদ্য ক্ষমতায় আসা দিল্লির বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মদের দোকানে গিয়ে মদ কেনার ন্যূনতম বয়স ৪ বছর কমিয়ে ২১ করা হবে।
এবার থেকে ২১ বছর হলেই সরকারি দোকান থেকে মিলবে বিয়ার। যা আগে ছিল ২৫ বছর। অর্থাৎ মদ কেনার ন্যূনতম বয়স ৪ বছর কমানো হচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি বিক্রেতাদেরও অবাধে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার। বিজেপির সরকারের দাবি, নয়া নীতির ফলে একদিকে যেমন মদের কালোবাজারি বন্ধ হবে, তেমনই সরকারের রাজস্ব বাড়বে। তবে সরকারের এই পরিকল্পনার সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।
২৫ বছরের কম বয়স হলে পাঞ্জাব বা মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে মদের দোকানে ঢুকতেই দেওয়া হয় না। এই তালিকায় ছিল দিল্লিও। অবশ্য বিজেপি শাসিত হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে অনেক আগে থেকেই ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ২১। একমাত্র গোয়ায় ছিল ১৮। কেজরিওয়াল সরকার দিল্লির মানুষকে নেশাগ্রস্ত করছে বলে প্রায়ই চিল চিৎকার করতেন গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েটরা। এছাড়াও মদ দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে আপ সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত লেলিয়ে দেয়। জেল খাটতে হয় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল-সহ তিন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি তদন্তকারী এই দুই সংস্থা। এবার বয়সসীমা নিয়ে বিতর্কে জড়াল রেখা গুপ্তার সরকার। যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে। তবে তোপ দেগেছে আম আদমি পার্টি। হেভিওয়েট নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত ও বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছে। অথচ দিল্লিকে মদে ভাসিয়ে দিতে চায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.