সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছরের মতো দূষণের থাবায় বিপর্যস্ত দিল্লি। রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই মঙ্গলবার পৌঁছেছে ২৫৪-তে। অর্থাৎ দিওয়ালির আগেই ‘খারাপ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে দূষণের মাত্রা। যদিও বিভিন্ন ‘হটস্পটে’ তা পেরিয়ে গিয়েছে ৩০০-র গণ্ডি। যা রয়েছে ‘অত্যন্ত খারাপ’ ক্যাটাগরিতে।
CPCB-র তথ্যানুসারে, আনন্দ বিহারে দূষণের মাত্রা ৩৮৪, ওয়াজিরপুরে ৩৫৯, জাহাঙ্গিরপুরী ৩০৭, সিরি ফোর্ট ৩০৩। তথ্য থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ১৪ অক্টোবর থেকে ক্রমশ বাড়ছে দূষণের মাত্রা। শনিবার সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমেছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাস্তা। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দূষণের এই ছবি দেখে।
উল্লেখ্য, ধোঁয়াশার জেরে দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারতে গত শীতেও বারবার ব্যাহত হয়েছিল বিমান ও রেল পরিষেবা। বহু বিমানের সময়সূচিতে পরিবর্তন করতে হয়। প্রভাব পড়েছিল রেল পরিষেবাতে। এবারও পরিস্থিতি তেমনই হতে পারে এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। গতবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ‘ভয়ানক’ পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। এরপরই ‘জিআরএপি-৩’ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান-৩) লাগু করে প্রশাসন। এর ফলে অনলাইনে স্কুল, রাজধানীর সড়কে বিএস ৩-এর নিচে থাকা পেট্রল গাড়ি, বিএস ৪-এর নিচে থাকা ডিজেল গাড়ি এবং পণ্যবাহী মাঝারি আকারের যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। রাজধানী দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত যে ভয়ংকর পরিবেশ দূষণের মুখোমুখি হয়, তার অন্যতম কারণ শস্যের গোড়া পোড়ানো।
এদিকে দিওয়ালিতে বাজি ফাটানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ফাটানো যাবে সবুজ বাজি। গ্রিন ক্র্যাকার পোড়ানোর অনুমতি চেয়ে যে আর্জি জানানো হয়েছিল বুধবার তাতেই সাড়া দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, কেবল মাত্র নির্দিষ্ট অঞ্চলেই সবুজ বাজি ফাটানো যাবে। বাজি ফাটানোর সময়সীমা সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং সন্ধে ৮টা থেকে ১০টা। যাঁরাই এই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.