Advertisement
Advertisement

স্বস্তি দিল না হাই কোর্টও, মেটাতেই হবে ১০৫ কোটি, লোকসভার আগে বিপাকে কংগ্রেস

আয়কর নিয়ে ডামাডোল আসলে মোদি  সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দাবি কংগ্রেসের।

Congress to move Supreme Court to cancel a Delhi High Court order to recover over ₹ 100 crore tax
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 13, 2024 5:28 pm
  • Updated:March 13, 2024 5:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার (Lok Sabha 2024) আগে আয়কর অস্বস্তি কাটছে না কংগ্রেসের। ট্রাইব্যুনালের পর হাই কোর্টেও ধাক্কা হাত শিবিরের। যা পরিস্থিতি তাতে সুপ্রিম কোর্ট স্বস্তি না দিলে ভোটের আগে ১০৫ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কংগ্রেসকে।

Advertisement

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের (Congress) প্রধান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর বিভাগ। এর পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন (Ajay Maken) অভিযোগ করেন, আয়কর দপ্তর (IT) নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তাদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৬৫ কোটি টাকা জরিমানা হিসাবে কেটে নিয়েছে। এর প্রথমে বিরুদ্ধে আয়কর ট্রাইব্যুনালে আবেদন করছিল কংগ্রেস। ট্রাইব্যুনাল প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসের সব অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু চূড়ান্ত রায়ে জানায়, কংগ্রেসের যে কর বকেয়া আছে, সেটা দিতেই হবে। এমনকী আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকা আয়কর দপ্তরের কাছে বকেয়া হাত শিবিরের। এখন ওই টাকা লোকসভার আগে মেটাতে হলে বিরাট ধাক্কা খাবে কংগ্রেস।

[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের টাকা থেকে কাটমানি! অভিযুক্ত উপপ্রধানের স্বামী]

এই অবস্থায় দিল্লি হাই কোর্টে আয়কর ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে মামলা করে কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি পেল না হাত শিবির। বুধবার দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আয়কর বিভাগ যে পদক্ষেপ করেছে তাতে কোনও ভুল নেই। কংগ্রেসকে আপাতত ১০৫ কোটি টাকা বকেয়া আয়কর মেটাতে হবে। সেটাও লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে। এমনিতেই কংগ্রেসের তহবিলের অবস্থা শোচনীয়। তার উপর যদি বাড়তে এই ১০৫ কোটি টাকা মেটাতে হয়, তাহলে আর্থিকভাবে আরও ধাক্কা খাবে হাত শিবির। যদিও দলের তরফে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: নিজের গাড়ি নেই, পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরামের প্রচারে আসছে দুধ সাদা দামি গাড়ি]

এক দিকে আদালতগুলিতে আইনি পদ্ধতিতে লড়বে কংগ্রেস, অন্যদিকে একাধিক কংগ্রেস নেতা দাবি করেছেন, আয়কর নিয়ে ডামাডোল আসলে মোদি  সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়াই উদ্দেশ্য।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement