সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দেশের একাধিক গুরুতর সমস্যার প্রতিকার চেয়ে নতুন করে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে শান দিচ্ছে কংগ্রেস। আগামী ৩০ নভেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘ভারত বাঁচাও মহামিছিল’এর আয়োজন করেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলীয় সমর্থকরা যোগ দেবেন এই মহামিছিলে। মূলত কৃষকদের সমস্যা নিয়েই এই কর্মসূচি। এছাড়া স্লোগান উঠবে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে। তবে মহামিছিলের দিনক্ষণ নিয়ে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতৃত্ব কিছুটা আপত্তি তুলেছে। সূত্রের খবর, দিন বদল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়া গান্ধী।
নভেম্বরের ৫ থেকে ১৫ তারিখ, এই সময়ের মধ্যে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের জন্য প্রতিটি রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সেই নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেস কার্যালয়ে হাইকম্যান্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসে প্রদেশ নেতৃত্ব। বাংলা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। অরুণাচল বাদে ছিলেন অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিরাও। তবে অসুস্থ থাকার জন্য বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী। ছিলেন না রাহুল গান্ধীও। তবে প্রিয়াংকা গান্ধীর উপস্থিতিতে আলোচনায় ছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই স্থির হয়, আগামী ৩০ নভেম্বর রামলীলা ময়দান থেকে হবে ‘ভারত বাঁচাও মহামিছিল’।
তবে এই দিন নিয়ে আপত্তি তোলেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ওই সময়টা ফসল তোলার মরশুম। কৃষকরা তাতে ব্যস্ত থাকবেন। তাই মহামিছিলে কৃষকদের যোগদান কতটা স্বতঃস্ফূর্ত হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন নেতারা। তাঁরা আবেদন জানান, ৩০ নভেম্বর দিনটি যদি বদল করা যায়। এনিয়ে যদিও আজই কোনও মতপ্রকাশ করেননি কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা। এই আবেদন তাঁরা পৌঁছে দেবেন দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে। তিনি এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে সূত্রের খবর। এভাবেই শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের ভিতরে কেন্দ্র বিরোধী ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বাইরেও আন্দোলন আরও ধারালো করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য শুনুন:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.