সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দুই মাস বয়স শিশুর। হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। সেজন্যই সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। হাসপাতালে পৌঁছে অ্যাম্বুল্যান্স খুলতে গিয়েই বিপত্তি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে যায় দরজা। জানলার কাচ ভেঙে শিশুকে বাঁচাতে যান বাবা। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি কি নষ্ট করতে দেওয়া যায়? বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। ফল, অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরেই দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হল একরত্তির।
[গ্রেটার নয়ডায় ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতল, ৩ জনের দেহ উদ্ধার]
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে ঘটে এই অমানবিক ঘটনা। দুই মাসের শিশুটির বাবার নাম অম্বিকা কুমার। জন্মের পর থেকেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিল তাঁর সন্তান। দিল্লির এইমসে ডাক্তার দেখান অম্বিকা। সেখান থেকে অস্ত্রোপচারের কথা বলা হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অস্ত্রোপচার করানোর প্রয়োজন ছিল। সেই জন্যই শিশুকে রায়পুরের ডা. ভীম রাও আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে আসেন আম্বিকা। রায়পুর স্টেশনে নেমেই তিনি সঞ্জীবনী এক্সপ্রেসে ফোন করেছিলেন। সম্পূর্ণ সরকারি এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। তাতেই আস্থা রেখেছিলেন অম্বিকা। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যখন হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছান, দরজা খুলতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। দেখা যায়, কোনওভাবে দরজাটি লক হয়ে গিয়েছে। কোনওভাবেই তা খোলা যাচ্ছে না। বিশেষেজ্ঞদের ডাকা হয়। কিন্তু তাঁদের পক্ষেও অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা খোলা সম্ভব হয়নি। উপায়ন্তর না দেখে অ্যাম্বুল্যান্সের জানলার কাচ ভাঙতে উদ্যত হন অম্বিকা। অভিযোগ, তখন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা যাবে না বলে তাঁকে অ্যাম্ব্যুল্যান্সের কর্মীরা বাধা দেন। কিছুতেই জানলা ভাঙতে দেওয়া হয়নি তাঁকে।
[ঝাড়খণ্ডে যুব মোর্চার কর্মীদের হাতে আক্রান্ত স্বামী অগ্নিবেশ]
প্রায় ঘণ্টা দেড়েক এভাবেই ভিতরে পড়ে থেকে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির। অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীদের অসহযোগিতার জন্যই একরত্তির মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেছেন অম্বিকা ও তাঁর স্ত্রী। যদিও অ্যাম্বুল্যান্স কর্তৃপক্ষের তরফে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল না বলেই দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও কোনও পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.