সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা অতিমারীর মাঝে হু হু করে বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানি থেকে গ্যাসের দাম। এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতাকেই তুলে ধরেছিল মোদি সরকার। কিন্তু সংসদে দেওয়া তথ্যে উঠে এল একেবারে ভিন্ন ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত দুই অর্থবর্ষে তেলের কর এবং শুল্ক থেকে কেন্দ্রের কোটি কোটি টাকা বাড়তি আয় হয়েছে। ঝুলি ভরেছে রাজ্যগুলিরও।
লকডাউন, অতিমারীতে (Corona Pandemic) নাজেহাল আমজনতার দুর্ভোগ বাড়িয়েছে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। যার হাত ধরে লাফিয়ে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দামও। কিন্তু মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্র যে তথ্য দিয়েছে, তাতে শুধু জ্বালানি তেল বিক্রি করেই মোদি সরকারের বিপুল লাভ হয়েছে। মুনাফা বেড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগার ও বিপণন সংস্থাগুলিরও।
সংসদে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছিলেন দুই সাংসদ, জহর সরকার এবং রাম নাথ ঠাকুর। তেলের দাম, শুল্ক থেকে আয়ের পরিমাণ, ১৯৯৪ সালের পর দেশে অশোধিত তেলের উৎপাদন কেন সর্বাধিক নিচে নেমে যাচ্ছে, এসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়। রাজ্যসভায় এরই লিখিত জবাবে মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি যা বলেছেন, তাতে তেলের হাত ধরে কেন্দ্রের ঘরে বিপুল অর্থ প্রবেশের ছবিটা পরিষ্কার।
তথ্য বলছে, ২০২০-২১ সালে তেলের শুল্ক থেকে কেন্দ্রের ভাঁড়ারে আসে ৪.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা। আবার ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪.৯২ লক্ষ কোটিতে। দুই অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির রাজকোষে এসেছে যথাক্রমে ২.১৭ লক্ষ কোটি ও ২.৮২ লক্ষ কোটি টাকা।
লাগাতার মূল্য়বৃদ্ধি জেরে দৈনন্দিন খরচ জোগাতে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এমনকী হাত পড়েছে সঞ্চয়েও। সেখানে মোটা অঙ্কের আয় হয়েছে সরকারের। যা এতদিন কার্যত অগোচরেই ছিল। সামান্য স্বস্তি দিতে মাঝে উৎপাদন শুল্ক কমালেও তা মূল্যবৃদ্ধির কাছে কিছুই নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.