সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। সেই আর্জি পুরোপুরি না মানলেও এবার ঘুরপথে সংঘের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিল সিদ্ধারামাইয়ার সরকার। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও স্কুল-কলেজ বা সরকারি সম্পত্তিতে কোনওরকম বেসরকারি সংস্থা বা স্বেচ্ছাসেবী কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার কর্নাটক সরকার ২০১৩ সালের একটি সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। সেই সময়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। সেসময় রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি স্কুলে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের আয়োজনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তৎকালীন বিজেপি সরকার সেই অনুষ্ঠানের অনুমতি না দিয়ে, জানিয়ে দেয় খেলার মাঠ, স্কুল কেবলমাত্র শিক্ষামূলক কাজেই ব্যবহৃত হবে। অন্য কোনও কাজে নয়।
সেই নির্দেশিকাকে এবার আইন আকারে আনতে চলেছে সিদ্ধারামাইয়ার সরকার। সুত্রের খবর, ওই নয়া আইন ব্যবহৃত হবে মূলত আরএএসএসের কার্যকলাপ নিয়ত্রণের জন্য। সচরাচর আরএসএসের শাখা সরকারি স্কুল-কলেজে চলে। স্বয়ংসেবকদের শরীরচর্চা বা অন্য কর্মসূচির জন্যও সরকারি সম্পত্তি ব্যবহৃত হয়। সে সব বন্ধ করে দিতে পারে কংগ্রেস সরকার। যদিও কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী এইচ কে পাতিল বলছেন, শুধু আরএসএস নয়। অন্য বেসরকারি সংস্থার বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়াঙ্ক খাড়গে কর্নাটকে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, আরএসএস অসাংবিধানিক কার্যকলাপে জড়িত। দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে কর্নাটকে। খাড়গের আরজির পরই সংঘের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের ভাবনা কংগ্রেস সরকারের। ১৯৪৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পর সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবে সরকার। ফলে এই সময়েই নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পরে জরুরি অবস্থাতেও সংঘকে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.