সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে এয়ারইন্ডিয়ার যে বিমানটি ওড়ার পরই মাটিতে আছড়ে পড়েছে সেটি বিশ্ববিখ্যাত বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংয়ের ‘বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার’। এই ড্রিমলাইনার ২০১১ সাল থেকে আকাশে উড়ছে। এর আগে একটিও এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়নি এটিকে। আহমেদাবাদেই প্রথম মৃত্যুস্পর্শ। তবে দুর্ঘটনার কবলে না পড়লেও এই ড্রিমলাইনার নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। এই বিমানের সুরক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি নিয়ে অতীতে প্রশ্ন তুলেছেন বোয়িং সংস্থারই শীর্ষ আধিকারিক।
বোয়িং একটি মার্কিন সংস্থা। যার পুরো নাম ‘দ্য বোয়িং কোম্পানি’। এই সংস্থায় ৩২ বছর ধরে কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছিলেন জন বার্নেট। বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। পরে তাঁর রহস্যমৃত্যু হয়। যার আজও কোনও সুরাহা হয়নি।
বার্নেট ২০১৭ সালে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার প্রজেক্টে কাজ করার সময় ভয়াবহ অনিয়ম দেখতে পান এবং তা চেপে না রেখে সাহসিকতার সঙ্গে তিনি ফাঁস করেন। যার জেরে বোয়িংয়ের চক্ষুশূল হলেও মার্কিন মিডিয়া তাঁকে ‘হুইসলব্লোয়ার’ বলে স্বীকৃতি দেয়। বোয়িং ৭৮৭-এ ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ ব্যবহার, অক্সিজেন সরাবরাহের সমস্যা এবং প্ল্যান্টের ভেতরের কিছু সমস্যা নিয়ে আমেরিকার ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ((এফএএ) এবং অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেল্থ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (ওএসএইচএ) লিখিত অভিযোগ জানান বানেট।
আদালতের নির্দেশ তদন্ত হয়। জন বার্নেটের অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হয়। এফএএ বোয়িং সংস্থাকে ত্রুটি সংশোধনের নির্দেশ দেয়। এরপর সংস্থা স্বাভবিকভাবেই জন বার্নেটকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে। তিনি চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। শোনা যায়, ২০২৪ সালের ৯ মার্চ বার্নেট সমস্ত প্রমাণ সহ আদলতে বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে গিয়েছিলেন। দক্ষিণ ক্যারোলিনা’র চার্লসটনের একটি হোটেলের পার্কিং লটে তাঁর গাড়ির ভেতরে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ একে ‘আত্মহত্যা’ বলে দাবি করলেও, সেটা নিছক আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.