Advertisement
Advertisement
Bimal Gurung

বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ, মদন তামাং হত্যা মামলায় শীর্ষ আদালতেও স্বস্তি পেলেন না বিমল গুরুং

২০১০ সালের মে মাসে দার্জিলিংয়ে সভা করতে এসে সকালে রাস্তার উপরে খুন হয়ে যান মদন তামাং।

Bimal Gurung does not get relief in Madan Tamang murder case
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 2, 2025 1:16 pm
  • Updated:April 2, 2025 1:52 pm   

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মদন তামাং হত্যা মামলায় স্বস্তি মিলল না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের। মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাঁর আবেদনে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চ বিমলকে বলে, “আপনি তো এখন জামিনেই আছেন। আগে ট্রায়াল কোর্টের মামলা শেষ হোক।”

Advertisement

গত বছর মদন তামাং হত্যা কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত বিমলকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন বিমল। সেই মামলা আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। শুনানিতে মদন তামাং হত্যার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিমলের আইনজীবী। সিআইডি, সিবিআইয়ের পেশ করা চার্টশিটের উল্লেখ করে তাঁর দাবি, কোনও তদন্তকারী সংস্থা তাঁর মক্কেলকে অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করেনি। চার্জশিটে বলা হয়েছে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে বিতর্কিত বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ আছে।

বিমলের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিকভাবে যা হামেশাই হয়ে থাকে। বিমলের উদ্দেশ্যেও অনেকে অনেক আপত্তিকর, উস্কানিমূলক বক্তৃতা পেশ করেছেন। তাছাড়া মদন তামাংয়ের হত্যার দিন বিমল দার্জিলিঙে ছিলেন বলে ফের দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী। বিমলের দাবি, ঘটনার দিন তিনি কালিম্পংয়ে ছিলেন। এই সব কারণ দেখিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি চান তিনি।

সব শুনে পালটা হাই কোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, আদালতের পর্যবেক্ষণে বিমলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যায় ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। যার জন্য এলাকায় থাকার প্রয়োজন হয় না। এরপরই বিচারপতিরা জানান, আপনি এখনও জামিনে আছেন। আগে ট্রায়াল কোর্টের মামলা শেষ হোক। যার ফলে এই মামলায় বিমল গুরুংকে অন্তর্ভুক্ত করার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট, সেটাই বহাল থাকল।

২০১৭ সালে নগর ও দায়রা আদালত গুরুংকে স্বস্তি দিয়ে ওই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে তাঁকে রেহাই দিয়েছিল। ২০২৪ সালে সেই নির্দেশ বাতিল করে হাই কোর্ট। নগর ও দায়রা আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মদন তামাংয়ের স্ত্রী ভারতী তামাং এবং সিবিআই। তাদের আবেদন মঞ্জুর করে এই মামলায় ফের যোগ করা হয়েছিল গুরুংয়ের নাম।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের মে মাসে দার্জিলিংয়ে সভা করতে এসে সকালে রাস্তার উপরে খুন হয়ে যান মদন তামাং। এই খুনে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নিকল তামাংকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু নিকল পিনটেল ভিলেজে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান। সিআইডির থেকে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করে তাতে বিমল গুরুং-সহ ৪৮ জনের নাম ছিল। মামলায় ৪৮ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে অব্যহতি দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাই কোর্টে। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী অনির্বাণ মিত্রর দাবি ছিল, “তদন্তে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে। এই ঘটনায় তাঁর যে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে, তা নিয়ে বেশ কয়েকজনের বক্তব্য রয়েছে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ