Advertisement
Advertisement
Ahmedabad Air India Plane Crash

বিমান দুর্ঘটনার আগেই পাইলটের মুখে ‘মে’ডে’, কেন এই শব্দেই বিপদবার্তা দেওয়া হয়?

বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।

Ahmedabad Air India Plane Crash: Kills 242 After Mid-Air Mayday Call
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:June 12, 2025 5:45 pm
  • Updated:June 12, 2025 6:52 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে আপাতকালীন বার্তা ‘মে’ডে কল’ পাঠিয়েছিলেন পাইলট। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। মাত্র ৬ সেকেন্ডেই সব শেষ। আহমেদাবাদের (Ahmedabad) মেঘানি নগরের বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হস্টেলের মেসের ছাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Air India Plane Crash)। উড়ানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। ভেঙে পড়ার পরমুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটায় মনে করা হচ্ছে যে বিমানের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে বিপদবার্তা (মে’ডে কল) পাঠানো হয়েছিল। পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।

Advertisement

কেন এই মে ডে কল শব্দেই বিপদবার্তা দেওয়া হয়? বিমান পরিষেবার পরিভাষায় এটিকে ‘বিপদ সংকেত’ বলা হয়। ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ থেকে মে’ডে শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাইলট কোনও বিপদের আঁচ পেলে এই শব্দটি ব্যবহার করেন। দ্রুত সাহায্য চান। সাধারণত এটিসি এবং এটিসি-র আওতায় থাকা বিমানের মধ্যে রেডিও কমিউনিকেশনকে মে ডে কল বলা হয়। যা পেলে দ্রুত সাহায্যের বার্তা পাঠানো হয়। এই শব্দবন্ধ প্রথম ১৯২০ সালে চালু হয়েছিল। যা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবহার করা হয়।

‘মে’ডে, মে’ডে, মে’ডে’ সব সময় পরপর তিনবার উচ্চারণ করা হয়। তাহলেই এটিসি বুঝতে পারে বিমানটি কোনও বিপদে পড়েছে। কোলাহলপূর্ণ পরিস্থিতি বা নিম্নমানের রেডিও ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রেও এই সংকেত স্পষ্ট বোঝা যায় বলেই জানা গিয়েছে। বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিলে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পড়লে, এমনকী বিমানের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি হিসাবে এই মে’ডে কল করা হয়।

এই বিপদ সংকেত পাওয়ার পর সেই ফ্রিকোয়েন্সিতে সমস্ত ‘রেডিও ট্র্যাফিক’ পরিষ্কার করা হয়। বিপদগ্রস্ত পাইলট তাঁর অবস্থান, জরুরি অবস্থার প্রকৃতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ ভাগ করে নেন। এরপর এটিসি জরুরি পরিষেবার মাধ্যমে সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ করে। অন্যদিকে, পরিস্থিতি যদি তেমন গুরুতর না হয়, কিন্তু উদ্বেগের বিষয় থাকে তাহলে ‘প্যান প্যান কল’ করেন পাইলট। প্রসঙ্গত, শুধু আকাশপথে বিমান নয়, জলপথে যেকোনও জাহাজ থেকেও বিপদের সময় এই মে’ডে কল পাঠানো হয়।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ