সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবসায়ী গোপাল খেমকা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বড় পদক্ষেপ বিহার পুলিশের। এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অস্ত্র সরবরাহকারী বিকাশ ওরফে রাজাকে এনকাউন্টারে খতম করল বিহার পুলিশের এসটিএফ। মঙ্গলবার এই অভিযান চালানো হয়। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, রাজার গোপন ডেরায় অভিযান চালাতে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে অভিযুক্ত। পালটা জবাবে মৃত্যু হয় তাঁর।
নির্বাচনের আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধী শিবির। গোটা ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে শুটার উমেশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। উমেশকে জেরা করে জানা গিয়েছে, গোপাল খেমকাকে হত্যা করতে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্রেই উঠে আসে অস্ত্র সাপ্লায়ার রাজার নাম।
একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে পাটনার মাল সালামি থানা এলাকার পাটনা ঘাটে রাজার বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানেই দুই তরফের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াইয়ের পর পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় রাজার। পুলিশের তরফে এই এনকাউন্টার নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বিহারের আইজি জিতেন্দ্র রানা জানিয়েছেন, ১১টায় পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে সেখানেই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সকলের সামনে আনা হবে। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান গোপালের ঘনিষ্ঠ কেউ তাঁকে খুন করতে উমেশকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই রাতে পাটনার গান্ধী ময়দান এলাকায় রামগোলাম চকের কাছে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী গোপাল খেমকাকে। গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় হত্যাকারী। এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিহারে। ব্যবসায়ী গোপাল বিজেপির সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। পুলিশ জেনেছে তাঁকে হত্যা করতে রীতিমতো এক সপ্তাহ ধরে এলাকার রেইকি করে হত্যাকারী উমেশ। ছ’বছর একইভাবে খুন করা হয়েছিল গোপালের ছেলেকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.