Advertisement
Advertisement

অকথ্য মানসিক নির্যাতনের শিকার, দেশে ফিরে অভিজ্ঞতা জানালেন অভিনন্দন

পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন উইং কমান্ডার।

Abhinandan says he went through mental harassment
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 2, 2019 9:04 pm
  • Updated:March 2, 2019 9:48 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুর হাতে ধরা পড়ার পর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মুখ দিয়ে যতই বলানো হোক, তিনি ঠিক আছেন, আদতে কিন্তু তা নয়। তাঁর উপর অকথ্য মানসিক নির্যাতন চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। দেশে ফেরার পর এমনই জানিয়েছেন বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। বলেছেন, পাকিস্তান তাঁর উপর কোনও রকম শারীরিক নির্যাতন চালায়নি। কিন্তু মানসিকভবে অকল্পনীয় অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। এছাড়া পাকিস্তানে ওই ৬০ ঘণ্টা তাঁর কীভাবে কেটেছে, তার বর্ণনাও কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

গত বুধবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ঢুকে আসে পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান এফ-১৬৷ তাকে ধাওয়া করতে করতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি যুদ্ধবিমান৷ যার পাইলট ছিলেন অভিনন্দন বর্তমান৷ পাক সেনার হাতে বন্দি হন তিনি৷ অভিনন্দনকে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি করতে থাকে ভারত৷ অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতিস্বীকার করে পাকিস্তান৷ উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে শুক্রবার মুক্তি দেয় ইসলামাবাদ। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ দেশের মাটিতে পা দেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা চলছে।

উত্তেজনা কাটতেই ফের চালু হচ্ছে সমঝোতা এক্সপ্রেস ]

শারীরিক, মানসিক পরীক্ষার পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে দেশের সুরক্ষা বিষয়ক কোনও তথ্য শত্রুদেশের সেনাবাহিনীর কাছে তিনি ফাঁস করেছেন কিনা। পাক প্রশাসন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে তাঁর রক্তে কোনও রাসায়নিক প্রবেশ করিয়েছে কিনা, পরীক্ষা করে দেখা হবে তাও। তাই ওয়াঘা সীমান্ত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বায়ুসেনার গোয়েন্দাদের কাছে। শুক্রবার রাতেই তাঁর একদফা ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষায় খতিয়ে দেখা হয়েছে পাক সেনারা তাঁর উপর কোনও রকম অত্যাচার চালিয়েছে কিনা। শনিবার সকাল এগারোটায় ফের শুরু হয় তাঁর ম্যারাথন স্বাস্থ্য পরীক্ষা। দিল্লির আর আর হাসপাতালে তাঁর শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা হয় বলে সেনাবাহিনী তরফে জানানো হয়েছে। শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি তিনি মানসিকভাবে সুস্থ কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। নিয়ে যাওয়া হবে মনোবিদের কাছে। শত্রুদেশের গোপন তথ্য পেতে অনেক সময়ই যুদ্ধবন্দিদের দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ‘মাইক্রোচিপ’। মুক্ত করার আগে পাকিস্তান এমন কোনও ‘চিপ’ অভিনন্দনের শরীরে বসিয়ে দিয়েছে কিনা তা জানতে তাঁর শরীর স্ক্যান করে দেখা হবে। তবে তার আগেই অভিনন্দনের অভিজ্ঞতার কথা তাঁর নিজের মুখেই শুনে রীতিমতো ফুঁসে উঠেছেন সেনা কর্তারা। 

ভারতের মিরাজ না পাকিস্তানের F-16, আকাশ যুদ্ধে কে বেশী শক্তিধর? ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ