সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানপুর থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে বান্দায় দুই কামরার একটি বাড়ি। রঙচটা দেওয়াল। পলেস্তরা খসে এদিক-ওদিক থেকে উঁকি মারছে ইট।
সেই বাড়িতেই বাস করেন ‘বোস’। পুরো নাম যমুনা প্রসাদ বোস। চারবারের বিধায়ক, দু’বারের মন্ত্রী। ‘বোস’ কিন্তু তাঁর পিতৃদেবের পদবি নয়। ৯২ বছর বয়সের এই বৃদ্ধকে ‘বোস’ বলে ডাকেন প্রতিবেশী ও পরিচিতরা। দুঁদে এই রাজনীতিবিদ অবশ্য এখনও ‘অবসর’ নেননি। নিজেই জানিয়েছেন, চোখে ভাল দেখতে না পেলেও, রাজনীতি এখনও পুরোদস্তুর করেন। সময়-অসময়ে অনেকেই তাঁর কাছে রাজনীতির হাতেখড়ি নিতে আসেন। “আমার বন্ধুরা আমাকে অবসর নিতে দিচ্ছে না। আমার হাতে এখনও একগাদা কাজ”, বলছেন যমুনা প্রসাদ বোস।
এতদিনের রাজনীতিবিদ অথচ থাকেন দু’কামরার ভাড়া বাড়িতে। বলছেন, “আমার নিজেরই ঠিক খেয়াল নেই কবে এই বাড়িটা ভাড়া নিয়েছিলাম। তবে ভাড়া আমি নিয়মিত মিটিয়ে দিই পেনশনের টাকা থেকে।” ১৯৭৪-এ বান্দা সদর থেকে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন, মন্ত্রী হন ১৯৭৭-এ। ১৯৮৯-এ মুলায়ম সিং যাদবের ক্যাবিনেটে যোগ দেন মৎসমন্ত্রী হিসাবে। এখনও তাঁর বাড়িতে জনসমাগমের অভাব নেই। যমুনা প্রসাদ বোস বলছেন, “আমার কোনও অনুতাপ নেই। অনেকেই আমাকে বলেন যে আমি চাইলেই বাড়ি-গাড়ি করতে পারতাম। কিন্তু আমার ওই সব জিনিসের কোনও লোভ নেই। আমি দিব্যি আছি।” তাঁর পেনশনের অর্ধেক টাকা খরচ হয় তাঁর খাওয়া-দাওয়া ও ওষুধের পিছনে। বাকি অর্ধেক যায় বাড়ির পিছনে। মাত্র এক বছর আগে স্ত্রীকে হারিয়েছেন। তিন ছেলেই আলাদা থাকে, বাবাকে দেখে না। সে নিয়েও বিশেষ আক্ষেপ নেই ৯২ বছরের এই বৃদ্ধের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.