Advertisement
Advertisement
Army chief

‘উপত্যকায় খতম জঙ্গির ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি’, লাদাখ সীমান্ত নিয়েও বার্তা সেনাপ্রধানের

শীতেও চিন সীমান্ত থেকে সেনা সরাবে না ভারত, বার্তা সেনাপ্রধানের।

60% of terrorists killed in J&K are Pakistani, says Army chief

সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:January 13, 2025 5:12 pm
  • Updated:January 13, 2025 5:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্তের পিছনে সরাসরি ইন্ধন রয়েছে পাকিস্তানের। ভূস্বর্গে মৃত জঙ্গিদের মধ্যে ৬০ শতাংশই পাকিস্তানের নাগরিক। এমনকি সেখানে যে জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে তাদের ৮০ শতাংশই পাকিস্তানের। সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবেশী দেশকে তুলোধনা করলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। পাশাপাশি লাদাখ, বাংলাদেশ ও মণিপুর নিয়েও মুখ খুললেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান।

Advertisement

এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মূল মাথা হল পাকিস্তান। সীমান্তে অস্ত্র পাচারের উদ্দেশে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্ত্রের পাশাপাশি চলছে মাদক পাচার। চোরাগোপ্তা অনুপ্রবেশও জারি রয়েছে। এত কিছুর পরও সীমান্তে আমাদের সেনা শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। যে কোনও রকম পরিস্থিতি রুখে দিতে প্রস্তুত আমরা। তবে সম্প্রতি ডোডা, কিস্তওয়াড়ার মতো অঞ্চলগুলিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ যে বৃদ্ধি পেয়েছে সেকথাও জানান তিনি।

এছাড়া ভারত-চিন সীমান্ত অর্থাৎ এলএসির প্রসঙ্গ তুলে ধরে সেনাপ্রধান বলেন, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি স্পর্শকাতর হলেও আপাতত পরিস্থিতি ঠিক আছে। পূর্ব লাদাখ এলাকায় ডেপসাং ও দেমচোক-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। দীর্ঘ কয়েক বছর পর সেখানে ফের সেখানে সেনা টহল শুরু হয়েছে বলেও জানান সেনাপ্রধান। শুধু তাই নয়, জোর দিয়ে দ্বিবেদী বলেন, শীতকালে ওই এলাকার চরম খারাপ আবহাওয়াতেও সেনার সংখ্যা না কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে ওখানে সেনা মোতায়েন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সেনাপ্রধানের সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও। তিনি জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখনও মজবুত রয়েছে। আমি নিজে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে দুই দেশের যৌথ মহড়া এখনও স্থগিত রয়েছে। রাজনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক হলেই দুই দেশের সেনার যৌথ মহড়া শুরু হবে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সম্পর্কে কোনও ছেদ পড়েনি। এছাড়া মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়েও সেনা প্রধান জানান, সেখানকার পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মায়ানমার সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। কোনও রকম অশান্তি রুখতে প্রস্তুত রয়েছে আমাদের বাহিনী।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement