Advertisement
Advertisement
Madhya Pradesh

ভুল ইঞ্জেকশনে অস্ত্রোপচারের পর স্মৃতি হারালেন ৫ প্রসূতি, ভয়াবহ ঘটনা মধ্যপ্রদেশে

প্রকাশ্যে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে স্বাস্থ্যের বেহাল দশা।

5 women suffer memory loss after C-Section at Madhya Pradesh hospital

প্রতীকী ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:March 3, 2025 12:57 pm
  • Updated:March 3, 2025 12:57 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিজেপি শাসিত রাজ‌্য মধ‌্যপ্রদেশে চিকিৎসা পরিষেবার বেহাল অবস্থা প্রকাশ্যে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের মধ্যপ্রদেশে অবশ করার ইঞ্জেকশনে স্মৃতি হারালেন পাঁচ প্রসূতি। ইঞ্জেকশনের নমুনা দ্রুত পরীক্ষার জন্য পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে গাফিলতি, না ইঞ্জেকশনে গরমিল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। গোটা ঘটনায় প্রতিবাদ তো দূরের কথা, ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে মোহন যাদব সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রেওয়া জেলার গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে শুক্রবার সিজার হয় পাঁচ প্রসূতির। জেনারেল বেডে দেওয়ার পরই তাঁরা কিছু মনে করতে পারছেন না। দ্রুত তাঁদের আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসকদের দাবি, সিজারের জন্য মেরুদণ্ডে যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, তা থেকে এই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। মধ্যপ্রদেশ স্বাস্থ্য দফতর ওই অচেতন করার ইঞ্জেকশন পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পরই প্রশ্ন উঠেছে ইঞ্জেকশন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিয়ে। অসুস্থ প্রসূতিদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে ইঞ্জেকশনে গলদ এই প্রথম নয়। গতবছর আগস্টে ইন্ট্রাভেনাস ইঞ্জেকশন নিয়ে পাঁচ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। বাংলায় প্রসূতি মৃত্যুতে বিরোধীরা সরব হলেও মধ্যপ্রদেশের ডবল ইঞ্জিন সরকারের গাফিলতিতে মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত সেই সময় ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধ নিষিদ্ধ হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। কিন্তু সেখানেও সেই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর এবার ঘটনা যে হাসপাতালে সেই রেওয়া জেলার বাসিন্দা খোদ মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা।

এবার মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটলেও সদ্য মা হওয়া মহিলারা স্মৃতিই হারিয়ে ফেললেন, যার পিছনে ইঞ্জেকশনকেই প্রাথমিকভাবে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। বুপিভ্যাকাইন নামের ওই ইঞ্জেকশনের ব্যবহার দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকরা দাবি করেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে প্রসূতিদের কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। চিকিৎসকরাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় পাঁচ প্রসূতির মধ্যে চারজন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন বলে দাবি। একজন এখনও আইসিইউ-তে ভর্তি। তবে অবশ করার ডোজ কতটা দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ