Advertisement
Advertisement
Vaishno Devi Yatra route

ভূস্বর্গ ভয়ংকর! বৈষ্ণোদেবীর পথে ভূমিধসে মৃত বেড়ে ৩১, এখনও চাপা পড়ে বহু মানুষ

ভারীবৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত গোটা জম্মু ও কাশ্মীর।

31 dead, several feared trapped after landslide hits Vaishno Devi Yatra route
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 27, 2025 8:58 am
  • Updated:August 27, 2025 12:12 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী রুটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১। আহত হয়েছেন ২৩ জন। ধসের জেরে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। তবে শুধু বৈষ্ণোদেবী যাত্রাপথ নয়, ভারীবৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত গোটা জম্মু ও কাশ্মীর।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুর অর্ধকুয়ারিতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে বড়সড় ধস নামে। আচমকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাথর, বোল্ডার নেমে আসায় পুণ্যার্থীদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ধসের নিচে চাপা পড়ে যান অসংখ্য পুণ্যার্থী। এর জেরে গতকালই জানা গিয়েছিল ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪ জন। বুধবার সকালে সেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১। এখনও ধসের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক্স হ্যান্ডেলে ধসের বিষয়ে জানিয়েছে বৈষ্ণোদেবী তীর্থ কর্তৃপক্ষও। এই ঘটনার জেরে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যান্য অঞ্চলগুলিতে আতঙ্কের মেঘ জমেছে। কাঠুয়া, ডোডা, জম্মু, সাম্বা, রামবান এবং কিস্তওয়ার জেলাগুলিতে মঙ্গলবারই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এর পর গতকাল মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে ডোডায়। ভয়ংকর বৃষ্টির জেরে আসে হড়পা বান। প্রশাসনের তরফে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জনের। পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ। তাউই নদীর জল বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন।

পরিস্থতি এতটাই গুরুতর আকার নিয়েছে যে ভূমিধসের ভয়ে বন্ধ রাখা হয় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। ডোডা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলি কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। রাতভর বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে। ধসপ্রবণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডোডার পাশাপাশি গুরুতর অবস্থা কাঠুয়া জেলার। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ডোডার ভাদেরওয়া অঞ্চলে ৯৯.৮ মিমি এবং জম্মুতে ৮১.৫ মিমি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধসের কারণে যারা আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারের কাজও চলছে সমানতালে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ