ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ধর্ষণের পর নাবালক ছাত্রের শ্বাসরোধ করে খুন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার নয়াগড় জেলার নীলমণি এলাকার এক মাদ্রাসায়। মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে ৫ অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ১২ বছরের ওই নাবালকের উপর যৌন নির্যাতন চালাত মাদ্রাসার উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সকলেই ১৩-১৫ বছর বয়সি।
পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, মাদ্রাসার মধ্যেই ওই ছাত্রের উপর লাগাতার নির্যাতন চালাত উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা। অভিযোগ, গত ৩১ আগস্ট দুপুর ১টা নাগাদ দুই পড়ুয়া ধর্ষণ করে ওই নাবালককে। যৌন নির্যাতনের তার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। বেধড়ক মারের পর সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। সেদিন ওই পড়ুয়া পালাতে সক্ষম হলেও। ২ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত দুই পড়ুয়া আরও ৩ জনের সঙ্গে মিলে ধর্ষণ করে নাবালককে। শ্বাসরোধ হত্যা করে হত্যা করার পর তার মৃতদেহ ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়।
নাবালক পড়ুয়াকে মারধর ও যৌন নির্যাতনের সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেয়েছে পুলিশ। ওই ৫ পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করেছে অপরাধের কথা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ১৫ বছরের এক কিশোর। মাসের পর মাস ধরে ১২ বছরের ওই নাবালকের অস্বাভাবিক যৌনতা করত সে। ৫ অভিযুক্তকে আটক করে পাঠানো হয়েছে জুভেনাইল হোমে। তাদের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মাদ্রাসাতে যাতে পড়ুয়ারা নিরাপদে পড়াশুনো করতে পারে তা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি মৃত নাবালকের পরিবারকে সবরকম আইনি সহায়তা দেবে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.