Advertisement
Advertisement

কাবুল থেকে এসে বলিউডের মন জয় করেছিলেন বর্ণময় কাদের

ফিরে দেখা কাদের-জীবন।

Kader Khan was a colourful character
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 1, 2019 2:32 pm
  • Updated:January 1, 2019 2:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন  ডিজি়টাল ডেস্ক :  ‘জিন্দা হ্যায় ও লোগ, জো মওত সে টকরাতে হ্যায়’ – ‘মুকাদ্দর কা সিকান্দার’ ছবির এই সংলাপকে বিশ্বাস করতেন। আর তাকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচেছিলেন ৮১ টা বছর। অভিনয় জীবনের বেশিরভাগ সময়ে খলনায়ক হয়েও নিজের খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। নতুন বছরের শুরুতে ভারতীয় সিনেমার এমন বর্ণময় এক চরিত্রের জীবনে একবার উঁকি দেওয়া যাক।

Advertisement

১৯৩৭ সালের ২২ অক্টোবর বর্তমান আফগানিস্তানের কাবুলের এক সম্ভ্রান্ত পশতু পরিবারে জন্ম হয় কাদের খানের। সেখানেই পড়াশোনা। পরে ইসমাইল ইউসুফ কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। পরে ভারতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষা। এরপর মুম্বইযের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শিক্ষকতা করতে করতেই সিনেমা জগতে ঢুকে পড়া। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনুষ্ঠানে নাটকে অংশ নিয়ে বিখ্যাত অভিনেতা দিলীপ কুমারের নজর কাড়েন কাদের খান। সেখানেই জওয়ানি দিওয়ানি সিনেমার চিত্রনাট্যকার হিসেবে বলিউডে তাঁর হাতেখড়ি।

[বছরের শুরুতেই নক্ষত্রপতন, প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেতা কাদের খান]

এরপর মুম্বাইতে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন কাদের খান। স্ক্রিপ্ট লেখা, অভিনয়ের সুদীর্ঘ ইনিংস। ‘১৯৭৩-এ দাগ’ কাদের অভিনীত প্রথম ছবি। একের পর এক আড়াইশো ছবির স্ক্রিপ্ট লেখা, তিনশোর বেশি হিন্দি, উর্দু ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছেন। সমালোচক মহলের একাংশের মতে,  তাঁর জনপ্রিয়তার নেপথ্যে, নায়কের চরিত্র নয়, খলনায়কের চরিত্রই। পরভরিশ, ধনদৌলত, কুরবানি, মেরি আওয়াজ শুনো, সনম তেরি কসম-এর মতো ছবিতে খলনায়কের চরিত্র তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। বেশ কয়েকটি উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেন কাদের খান। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। মাস্টারজি, দোস্তি দুশমনি, ঘর সংসার, খুন ভরি মাং, সোনে পে সুহাগ-এর মতো ছবিতে রেখে গিয়েছেন অসামান্য অভিনয়ের ছাপ। এরপর কিষেণ কানহাইয়া, বোল রাধা বোল, আঁখে, ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি, কুলি নং ১, দুলহে রাজা, বড়ে মিঞা ছোটে মি়ঞা, জুদাই-এর মতো ছবিতে কাদের খানের কমেডি মন জয় করে নিয়েছে আট থেকে আশির। এর মধ্যে অনেক ছবির চিত্রনাট্যকার তিনি নিজেই।

[#MeToo নিয়ে মুখ খুলে সমালোচনার শিকার রানি, কিন্তু কেন?]

১৯৮২, ‘৯১, ‘৯৩-এ তিনবার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০১৩ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে অবদানের  জন্য সাহিত্য শিরোমনি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। পরবর্তী সময়ে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন কাদের খান। ভারতের পাঠ চুকিয়ে ছেলে সরফরোজের সঙ্গে কানাডায় চলে যান। আর বছর শুরুর দিনে বিদেশের মাটিতেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় সিনেমার অন্যতম কিংবদন্তী অভিনেতা কাদের খান।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement