Advertisement
Advertisement
Folk Singer

প্রয়াত বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভিন, মা-বাবার কবরের পাশে চিরশয্যায় ‘লালনকন্যা’

রবিবার দিনভর ঢাকায় তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান অনুরাগীরা।

Folk Singer of Bangladesh Farida Parveen known as 'Lalankanya' passes away
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 14, 2025 6:14 pm
  • Updated:September 14, 2025 6:18 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: চলে গেলেন বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতের বরেণ্য শিল্পী তথা ‘লালনকন্যা’ ফরিদা পারভিন। শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গায়িকা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১। স্বামী এবং চার সন্তান রয়েছে তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভিন। সপ্তাহে দু’দিন ধরে তাঁকে ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহাখালির ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। কিন্তু ডায়ালিসিসের পর ফরিদা পারভিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা চলছিল। গত বুধবার থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলে। অবশেষে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সত্তরোর্ধ্ব ফরিদা পারভিন চলে যান ‘না ফেরার দেশে’।

Advertisement

ফরিদা পারভিনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে দেহ শায়িত ছিল রবিবার দিনভর। দুপুরে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান। তারপর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হয় কুষ্টিয়ায়। শিল্পীর ইচ্ছা অনুযায়ী গায়িকাকে দাফন করা হবে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে, মা–বাবার কবরের পাশে।কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিস-সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বছর একাত্তরের ফরিদা পারভীন। চলতি বছর তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। ২ সেপ্টেম্বর মহাখালির ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভিন। গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভিনের পেশাদার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়। এরপর পার হতে হয় অনেক চড়াই-উতরাই। পারিবারিক সূত্রেই গানের ভুবনে আসা তাঁর। গানের প্রতি বাবার টান ছিল বেশি। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাঁকে। শৈশবে যখন মাগুরায় ছিলেন, তখন উস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয়। এরপর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও তালিম থেকে দূরে থাকেননি। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালনের গান গেয়ে। যখন থেকে লালনের গান গাওয়া শুরু হয়েছিল, তারপর আর থেমে থাকেননি। সেই লালন সাঁইয়ের সঙ্গীত সঙ্গে নিয়েই জীবনকে বিদায় জানালেন ফরিদা পারভিন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement