সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার রাতে মুম্বইয়ে শেফালি জরিওয়ালার জন্য এক স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন বন্ধু-স্বজনরা। সেখানেই মেয়ের ছবির দিকে তাকিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন বাবা সতীশ জরিওয়ালা। পাশেই বসে থাকা প্রয়াত অভিনেত্রীর স্বামী পরাগ ত্যাগী শ্বশুরকে সামাল দিতে গিয়ে নিজেও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। এক কন্যাহারা বাবার হাহাকার যেন চোখে দেখা যাচ্ছে না! হৃদয়বিদারক সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত দেখে চোখে জল নেটিজেনদেরও।
শেফালি জরিওয়ালার (Shefali Jariwala Death) মৃত্যুতে গত শুক্রবার থেকেই তোলপাড় বিনোদুনিয়া। মাত্র বিয়াল্লিশেই প্রয়াত হিন্দি সিনেদুনিয়ার ‘রাতপরী’। যাঁর সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই এযাবৎকাল হাসিখুশি জীবনযাপনের ঝলক মিলত, সেই তরতাজা প্রাণ কীভাবে অচিরেই ঝরে গেল! কিছুতেই তাঁর আকস্মিক প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী-বন্ধুরা। এদিনের স্মরণসভাতেও হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। ভাইরাল ওইঈ ভিডিওতেই দেখা গেল, সাদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে শেফালি জরিওয়ালার স্মরণসভার আসর। মধ্যিখানে রাখা মডেল-অভিনেত্রীর হাসিমুখের একটি ছবি। স্মরণসভার আমন্ত্রণপত্রে লেখা- “কিছু তারা এতটাই উজ্জ্বল যে ওদের আলো কখনও নিষ্প্রভ হয় না। ওঁরা চলে গেলেও ওঁদের আলো আলোকিত করে রাখে সবটা।”
View this post on Instagram
এদিকে শেফালির আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে অনুরাগীদেরও কৌতূহলের অন্ত নেই। শেষ কয়েক ঘণ্টা কীভাবে কাটিয়েছিলেন তিনি? সেকথাই সম্প্রতি ফাঁস করেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু পূজা ঘাই। বিভীষিকাময় রাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পূজা জানান, “সেদিন শেফালিদের বাড়িতে খুব সুন্দরভাবে সত্যনারায়ণ পুজো হয়েছিল। এমনকী পরের দিন শেষকৃত্যের আগে যখন হাসপাতাল থেকে ওঁর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসি, তখনও ওঁদের বাড়িতে ফুল দিয়ে পুজোর আসর সাজানো দেখলাম। মৃত্যুর রাতে আর পাঁচটা দিনের মতোই শেফালি নৈশভোজ সেরে পরাগকে বলল পোষ্যকে নিয়ে হাঁটতে বেরতে। আর পরাগ নিচে আবাসনের মাঠে নামতেই ওঁকে বাড়ির এক পরিচারক ফোন করে জানায়, ‘দিদির শরীর ভালো নেই। আমাকে বললেন- তুমি একটু তাড়াতাড়ি এসো।’ পরাগ তখন ওই কর্মীকে বলেন- এই তো নিচে এলাম। তুমি নিচে এসে পোষ্যকে হাঁটাও। আমি উপরে যাচ্ছি। শেফালিদের পোষ্যর বয়স হয়েছে, তাই ওকে নিয়ে দোড়াদৌড়ি করা সম্ভব নয়। পরাগ যতক্ষণে লিফটে উপরে ওঠে, ততক্ষণে শেফালির সারা শরীর জুড়ে কাঁপুনি শুরু হয়ে গিয়েছিল। পরাগ উপরে গিয়ে দেখেন শেফালির চোখ বন্ধ তবে নাড়িস্পন্দন চলছিল। পুরো শরীর ছেড়ে দিয়েছিল। পরাগ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছোটেন। আর সেখানেই শেফালিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।” জানা যায়, এদিন পুজোর জন্য সারাদিন উপোস রাখা সত্ত্বেও বার্ধক্য কমানোর ওষুধ খেয়েছিলেন শেফালি প্রতিদিনের মতো। শুধু তাই নয়, খালি পেটে বাসি ফ্রায়েড রাইস খাওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.