Advertisement
Advertisement
Tollywood industry

টলিউডের বক্স অফিস যুদ্ধ এড়াতে নন্দনের বৈঠকে নয়া ‘প্রস্তাব’ ইম্পার, সকলে রাজি হলেও থাকছে একাধিক প্রশ্ন

বাংলা ছবির সুদিন ফেরাতে উদ্যোগী 'ইম্পা'।

eimpa-took-big-deciision-on-film-release-to-save-tollywood-industry
Published by: Arani Bhattacharya
  • Posted:August 13, 2025 2:34 pm
  • Updated:August 13, 2025 5:43 pm   

সর্বজয়া রায়: বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা প্রায়শই দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিককালে বাংলা সিনেমার এই সময়ের কাণ্ডারি যাঁরা তাঁরা নতুনভাবে হাল ধরতে উদ্যত হয়েছেন এই ইণ্ডাস্ট্রির। মেগাবাজেটের হিন্দি ও দক্ষিণী ছবির রমরমায় প্রাইম টাইমে বাংলা ছবি নিজভূমে হল পায় না। এই নিয়েই বড়সড় আলোচনায় বসেছিল নন্দনে সম্প্রতি এক বৈঠক। সেই বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তো বটেই একইসঙ্গে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে এক বড়সড় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে টলিপাড়ার তাবড় প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতার। ছিলেন দেব, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, নিসপাল সিং রানে, রানা সরকার প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন ইস্টার্ন ইণ্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোশিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পিয়া সেনগুপ্ত। বাংলা ছবির শো পাওয়া নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সেই বৈঠকে বাংলা ছবির মুক্তি নিয়েও এক প্রস্তাব রাখা হয় ‘ইম্পা’র তরফে।

Advertisement

উৎসবের মরসুমে একগুচ্ছ বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়া এ যেন খুব চেনা ছবি। এবার তাতেই বেশকিছুটা বদল আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ‘ইম্পা’র তরফে। বাঙালির বার মাসে তেরো পার্বণ। আর সেই পার্বণগুলির মধ্যে মোট ছ’টি পার্বণে বাংলা ছবি মুক্তির রমরমা থাকে। একগুচ্ছ বাংলা ছবি মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে এবার বেশ কিছুটা বদল হতে চলেছে। ‘ইম্পার’ তরফে জানানো হয়েছে যে কোনও ছ’টি উৎসবের মধ্যে দু’টি উৎসবেই যে কোনও প্রযোজনা সংস্থা তাদের ২টি ছবিই রিলিজ করতে পারবে। বছরের অন্যান্য সময়ে ছবি মুক্তি পেলে তা যদিও এই তালিকায় থাকবে না। তবে সব উৎসবেই সমস্ত প্রযোজনা সংস্থা ছবি মুক্তি দিতে পারবে না। যে কোনও প্রযোজনা সংস্থাকে তার জন্য বেছে নিতে হবে দু’টি উৎসব। তবে সেক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যায় যে চলতি বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল এসভিএফ এর ছবি ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’। অন্যদিকে একইসময়ে মুক্তি পেয়েছিল দেবের প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান’। অন্যদিকে আগামিকাল অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মুক্তি পাচ্ছে দেবের আরও এক ছবি ‘ধূমকেতু’। অন্যদিকে এসভিএফ ও দেবের যৌথ প্রযোজনায় আসছে এই পুজোতে ‘রঘু ডাকাত’। শুধু তাই নয় পয়লা বৈশাখে মুক্তি পেয়েছিল ‘কিলবিল সোসাইটি’। এছাড়াও বড়দিনে ফের মুক্তি পাবে এসভিএফের দু’টি ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ এবং ‘কাকাবাবু’ অবলম্বনে ‘বিজয়নগরের হীরে’ একইসঙ্গে দেবের প্রযোজনা সংস্থার আরও এক ছবি ‘প্রজাপতি ২’। চলতি বছরের মে মাসে উইন্ডোজের ছবি ‘আমার বস’ মুক্তি পেলেও তা কোনও উৎসবের মরসুমে মুক্তি পায়নি। তবে পুজোয় ও বড়দিনে মুক্তি পাবে এই প্রযোজনা সংস্থার দুই ছবি ‘রক্তবীজ ২’ ও ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’। এছাড়াও এই বড়দিনে মুক্তি পাবে অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ছবি ‘কর্পূর’। এই ছবিতেই প্রথমবার অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই ছবি দেখার জন্যও রীতিমতো মুখিয়ে রয়েছেন দর্শক। 

এদিন এই প্রস্তাবের পর ওই বৈঠকে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ”এমনটা হলে বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে।’ যদিও যে কোনও দু’টি উৎসবে ছবি মুক্তির বিষয়ে এখনও অবধি উইন্ডোজ প্রোডাকশন হাউসের ঝুলিতে রয়েছে দু’টি ছবি। কিন্তু অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থার ঝুলিতে থাকা ও মুক্তি পাওয়া ছবির তালিকা বেশ লম্বা। এখন দেখার এক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত যে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে এক বড় ভূমিকা নেবে তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতার ময়দানে যাতে সুস্থ প্রতিযোগিতা বজায় থাকে এবং সব সিনেমা হল পায় এবং দর্শক সব ছবি সিনেমা হলে গিয়ে দেখার সুযোগ পান তাই এই সিদ্ধান্ত। যা আগামীতে বাংলা ছবিতে এক অন্যমাত্রা যোগ করবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ