সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছবি কথা বলে। একটা ছবি হাজার শব্দের সমান। রাজধানীতে বারবার ছাত্রসমাজ আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদ জানাতে সেই পন্থাই অবলম্বন করলেন বলিউড অভিনেতা অভয় দেওল। প্রশ্ন তুললেন দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। তবে খানিক অভিনবভাবেই। অভয়ের প্রতিবাদী পোস্টে আপাতত নেটিজেনদের মন মজেছে।
সোজাসুজি নয়। বরং খানিক পরোক্ষভাবেই অভয় দেওল ব্যঙ্গ করলেন দিল্লি পুলিশকে। ইনস্টাগ্রামে দিল্লি পুলিশকে নিয়ে পরপর বেশ কয়েকটা স্কেচ শেয়ার করেছেন বলিউড অভিনেতা। যেসব ছবিতে পুলিশকে দেখা গিয়েছে পড়ুয়াদের উপর আক্রমণ করতে। কোনওরকম মন্তব্য নয়। শুধুমাত্র কয়েকটা ছবিতেই নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন অভিনেতা অভয় দেওল। ক্যাপশনেও ব্যঙ্গাত্মক ছোঁয়া। লিখলেন, “শিল্পে পুলিশি নৃশংসতা। আপনারা অবশ্য পুলিশের উদাসীনতাও বলতে পারেন।”
অভয়ের পোস্টে কমেন্ট করেছেন হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খানও। সুজানের কথায়, “দুনিয়াটা কোথায় যে চলে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি না। চারদিকে সব দানব!” প্রসঙ্গত, অভয় দেওলের তুতোদাদা সানি দেওল গুরদাসপুরের বিজেপি সাংসদ। তার জন্যে নিজের মতপোষণ করতে পিছপা হননি অভিনেতা। বরং খানিক ব্যঙ্গাত্মকভাবেই দিল্লি পুলিশকে ঠুকেছেন।
১৫ ডিসেম্বরের কথা। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস NRC, CAA’র প্রতিবাদে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendments Act) প্রতিবাদ জ্বরে জলকামান, গোলাগুলি, উড়ে আসা পাথরের ঢিল, রক্তপাত, ১৪৪ ধারা, কাঁদানে গ্যাসে আক্রান্ত রাজধানীতে একপ্রকার অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ করায় দিল্লি পুলিশের নিন্দায় সরব হয়েছিল গোটা দেশ। আমজনতা থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তি বাদ যাননি কেউই। তার দিন ১৫ পরই ফের জেএনইউ ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতিদের পড়ুয়া আক্রমণের পর দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এক্ষেত্রেও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশবাসীরা। অনুরাগ-স্বরাদের মতো বলিউডের একাংশ নিন্দায় সরব হলেও মুখ খোলেননি ডাকসাইটে অভিনেতাদের কেউই। যার দরুণ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতেই দেশের রাজধানীতে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেতা অভয় দেওল।
View this post on Instagram
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.