সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সাংসদ সুনীল মণ্ডলের (Sunil Mandal) বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে হাজির ছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিতে মেদিনীপুরের অমিত শাহর সভায় যাননি পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। কেন? তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। অধিকাংশের দাবি, নেপথ্যে নুরুলের মা।
নুরুল হাসানের দলবদলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি পোস্ট। যেখানে বলা হয়েছে, ‘মায়ের নিষেধের কারণেই তৃণমূল ত্যাগ করতে পারেননি নুরুল’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নুরুলের মায়ের আবেদন। তাতে লেখা হয়েছে, “এই সংকটের সময় পার্টিকে ছেড়ে যাস না। তোকে পার্টি গুরুত্ব দেয়নি। তুই বসে যাবি। তবু পার্টি ছেড়ে যাস না বাবা।” দাবি, মায়ের এই আবেদনে সাড়া দিয়েই নাকি নুরুল আর মেদিনীপুরে যাননি। যদিও এই নিয়ে নুরুল স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “আমি যেমন ছিলাম তেমনই আছি।”
এদিকে, কালনা ও মন্তেশ্বরের বিধায়ক শুভেন্দুর সঙ্গেই অমিত শাহর (Amit Shah) সভায় গিয়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপি। এবিষয়ে রবিবার কালনায় সভা থেকে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ। তিনি ওই দুই বিধায়ককে ‘গদ্দার’ বলে কটাক্ষ করেন। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “লজ্জা থাকলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি করুন।” এদিন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর অনুগামী বলে যাঁরা পরিচিত ছিলেন তাঁদের নিয়েই স্বপনবাবু মিছিল ও সভা করেন। সেখানে স্বপনবাবু বলেন, “ওদের ক্ষমতা থাকলে জিতে দেখাক। লজ্জা থাকলে আগে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি করত। গদ্দারদের মানুষ ক্ষমা করবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.