সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: পাহাড়ে একটানা বৃষ্টিতে বিপযর্স্ত জনজীবন। লাগাতার বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন দশ নম্বর জাতীয় সড়ক। রবিবার সকালে স্বেতিঝরার কাছে জাতীয় সড়কে ধস। রাস্তার একাংশ ভেঙে চলে গিয়েছে তিস্তার গর্ভে। জাতীয় সড়কে সমস্ত রকম ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শনিবারই এই এলাকায় রাস্তায় ফাটল ধরা শুরু করেছিল। রবিবার সকালে জাতীয় সড়কের বেশ খানিকটা অংশ চলে যায় তিস্তায়। শুধু জাতীয় সড়ক নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জন্য সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দুই নদীতেই হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচদপ্তর। জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ির কিছু এলাকায় উঠেছে তিস্তার জল। আশঙ্কা লাগাতার বৃষ্টি চললে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি একাধিক এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করবে।
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারেও লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে ডিমা, কালজানি, রায়ডাক-সহ বিভিন্ন নদীতে। রাতভর আলিপুরদুয়ারে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। সকাল আটটা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ১৫২ মিলিমিটার। ফুঁসে উঠছে নদীগুলি।
উত্তরবঙ্গে শনিবার থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দুই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত দাপট দেখাবে বৃষ্টি। তেমনটাই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। উত্তবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যার জেরে এই প্রবল বৃষ্টি। মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টি না হলেও বৃষ্টি চলবেই। ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বাড়বে। তিস্তা, তোর্সা এবং জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়বে। নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.