Advertisement
Advertisement
onion

কমবে নাসিক নির্ভরতা! পেঁয়াজ সংরক্ষণে বিরাট উদ্যোগ রাজ্যের

লাভের মুখ দেখার আশায় চাষীর।

WB govt special initiative to store onions

ফাইল ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 13, 2025 5:18 pm
  • Updated:October 13, 2025 5:18 pm   

সুমন করাতি, হুগলি: বাংলায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা বিশেষ ছিল না। তাই জমি থেকে পিঁয়াজ তুলেই তা বিক্রি করে দিতে হত কৃষকদের। ফলে এক তো দাম সেরকম মিলত না। জোগানেও অভাব দেখা দিত বিভিন্ন সময়। ফলে পিঁয়াজের জন্য নাসিকের উপর নির্ভর করতে হত বাংলাকে। তবে এই সমস্যা এবার সমাধানের পথে। পিঁয়াজ সংরক্ষণে বিরাট পদক্ষেপ করল রাজ্য। বাংলায় তৈরি হবে ৭৭৫ টি পিঁয়াজের গোলা। যার ভর্তুকি দেবে রাজ্য। ফলে এবার আর পচনের আশঙ্কায় সস্তায় পিঁয়াজ বিক্রি করতে হবে না বলেই আশাবাদী কৃষকরা।

Advertisement

অনেক দিন ধরেই আলুর মত পিঁয়াজ সংরক্ষণের চিন্তাভাবনা করছিল রাজ্য। কৃষি বিজ্ঞানীরাও কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়, তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলেন। কারণ, আলুর মতো করে হিমঘরে পিঁয়াজ রাখা যায় না। হুগলির বলাগড়ে খুব ভালো সুখসাগর প্রজাতির পিঁয়াজ চাষ হয়। তাই পরীক্ষা মূলকভাবে হুগলির বলাগড়ে পিঁয়াজ সংরক্ষণ ঘর করা হয়। তবে তা খুব একটা কার্যকরী হয়নি। এরপরই ঠিক করা হয়, রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের উদ্যোগে এবার পিঁয়াজ গোলা তৈরি করা হবে। আজ, সোমবার হুগলি সার্কিট হাউসে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক তরুন ভট্টাচার্য, সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, জেলা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মদন মোহন কোলে ও কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, পিঁয়াজ গোলা তৈরি জন্য হুগলিতে অনলাইনে ৩৫২ জন আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে লটারি করে ১৭৫ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বেচারাম মান্না বলেন, “আমাদের আমলে পিঁয়াজ চাষ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। সংরক্ষণ করলে কৃষকদের সুবিধা হবে। ক্রেতারাও সারা বছর সুবিধা পাবেন। তাই পিঁয়াজ গোলা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হুগলির এই ১৭৫ জনের প্রত্যেকেই ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে সরকারি ভর্তুকি পাবে।” জানা গিয়েছে, ১০টি পিঁয়াজ উৎপাদক জেলায় ৭৭৫ টি গোলা তৈরি হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ