সাংবাদিক বৈঠক পুলিশ আধিকারিকরা।
রাজা দাস, বালুরঘাট: পরীক্ষায় অকৃতকার্য কিংবা কম নম্বর পাওয়া কলেজ পডুয়াদের পাশ করিয়ে ও নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা! তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হল এক টোটোচালককে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ দিনাজপুরে। আজ সোমবার বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুরের অশোকগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ধৃত জুলিয়াস মোল্লা পেশায় টোটোচালক। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই প্রতারক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের টার্গেট করতেন বলে অভিযোগ। উদ্দেশ্যই ছিল, ওই পডুয়াদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার মধ্যেই বন্ধুত্ব গড়ে তোলা। পরীক্ষার ফলাফলের পর সে জানার চেষ্টা করতেন, কাদের নম্বর কম আর কারা অকৃতকার্য হয়েছে। এমন পড়ুয়ারা চিহ্নিত হতেই তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ শুরু হত বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময় বাড়িতে কল করার নাম করে পড়ুয়াদের মোবাইল নিতেন প্রতারক। ওই মোবাইল থেকে নিজের অন্য একটি নম্বরে একটি মিস কল দিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ শুরু হত তাঁর। এবার বাড়িতে বসেই অন্য মোবাইল থেকে এক এক করে চিহ্নিত হওয়া কলেজ পড়ুয়াদের ফোন করা হত। নিজেকে কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিচয় দিয়ে ফোন করতেন প্রতারক।
টাকা দিলেই নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে প্রস্তাব দেওয়া হত বলে অভিযোগ। তাঁর টোপে পড়ে যান বেশ কিছু কলেজ পড়ুয়া। কিন্ত টাকা খুইয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন পড়ুয়ারা। অবশেষে এনিয়ে বালুরঘাট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইনো হাঁসদা অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানায়। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই অভিযোগের দু’মাস পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে দুটি মোবাইল ও চারটি সিম কার্ড। ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ বলেন, “২২ জুলাই বালুরঘাট সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। মোবাইল লিঙ্ক ধরে জুলিয়াস মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তোলা হয়। তাঁকে পাঁচদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর পিছনে আর কেউ বা বড় চক্র রয়েছে কিনা, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.