Advertisement
Advertisement
Durgapur

দুর্গাপুরে তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যু, বাগানবাড়িতে মিলল ঝুলন্ত দেহ

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

TMC leader's mysterious death in Durgapur
Published by: Suhrid Das
  • Posted:September 20, 2025 7:59 pm
  • Updated:September 20, 2025 7:59 pm   

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি ও আইএনটিটিইউসির রাজ্য সহ-সভাপতি নিখিল নায়েকের রহস্যমৃত্যু! নিজের বাগানবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দলের কর্মী-সমর্থকদের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

দুর্গাপুরের তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি পদে আছেন বছর ৫৮-এর নিখিল নায়েকের। তৃণমূলের রাজ্য আইএনটিটিইউসির সহ-সভাপতির পদেও তিনি বর্তমান। দুর্গাপুর থানার দুর্গাপুর নগর নিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমলপুরের দশেরবাঁধ এলাকায় তাঁর একটি বাগানবাড়ি আছে। আজ, শনিবার বিকেলে সেই বাগানবাড়িতেই উদ্ধার হল ওই তৃণমূল নেতার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ।

আজ, শনিবার বিকেলের পর বাগানবাড়িরই দোতলার সিঁড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া দেহ ঝুলতে দেখা যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য, উত্তেজনা ছড়ায়। দীর্ঘদিনের নেতা হওয়ায় এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী নিখিল নায়েক। প্রচুর সংখ্যায় অনুগামীও আছে তাঁর। নেতার রহস্যমৃত্যুর খবর শুনেই ওই বাড়ির সামনে ভিড় করেন দলের কর্মী-সমর্থক, অনুগামীরা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এটি খুন নাকি আত্মহত্যা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, মৃত তৃণমূল নেতার হাতে খাবার লেগেছিল! শুধু তাই নয়, নেতার পা মাটিতে মুড়েছিল। এই ঘটনা ‘আত্মহত্যা’ নয়। এমনই দাবি তৃণমূলের কর্মীদের। তাঁকে ‘খুন’ করা হয়েছে বলে দাবি তোলা হয়।

পুলিশ প্রথমে এলে তাদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্তের দাবি তোলা হয়। তৃণমূলের ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি রাজীব ঘোষ বলেন, “অস্বাভাবিক মৃত্যু তো বটেই। আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা করে বিষয়টি সামনে আনুক।” এদিন কার বা কাদের সঙ্গে ওই বাগানবাড়িতে গিয়েছিলেন নিখিল নায়েক? সেই প্রশ্ন উঠেছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, “দেহ উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত এই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।” রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “খবর পেয়েই আমি ছুটে এসেছি ঘটনাস্থলে। নিখিলবাবু একজন বরিষ্ঠ সংগঠক ছিলেন। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমি রাজ্য সরকারের হয়ে পুলিশের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি রাখছি। দ্রুত এই ঘটনার কিনারা হবে বলে আমি আশাবাদী।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ