Advertisement
Advertisement
Krishnanagar

ফেসবুকে ‘ম্যারেড’, কৃষ্ণনগরের ছাত্রী ও অভিযুক্তের মাঝে এসেছিল তৃতীয়জন! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মৃতার ফোনে ধৃত যুবকের নম্বর সেভ ছিল 'হাজব্যান্ড' নামে।

Third person was involved in Krishnanagar student death
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 18, 2024 2:00 pm
  • Updated:October 18, 2024 3:21 pm   

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: গোপনে প্রেমিককে বিয়ে করেছিল কৃষ্ণনগরের মৃত ছাত্রী। ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে এমনই তথ্য। এখানেই শেষ নয়, এক তরুণীকে কেন্দ্র করে যুগলের মধ্যে দানা বেঁধেছিল অশান্তি। ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের দিন নাকি দীর্ঘক্ষণ সেই বান্ধবীর সঙ্গেই ছিলেন ধৃত যুবক। তা নিয়ে অশান্তির জেরেই কী নাবালিকার মৃত্যু? উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

চলতি বছরের ২৫ জুন ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্টেটাস বদল করেছিল মৃত নাবালিকা। লিখেছিল, ‘ম্যারেড উইথ…’। এখানেই শেষ নয়, নিজের ফোনে প্রেমিকার নম্বর সেভ করেছিল ‘হাজব্যান্ড’ নামে। এতেই মনে করা হচ্ছে প্রেমিকের সঙ্গে গোপনে বিয়ে সেরেছিল নাবালিকা। অনুমান, ঘটনাচক্রে তাঁদের মাঝে চলে আসে তৃতীয় কেউ। তা নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। এক পর্যায়ে তা বিরাট আকার নেয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর দিনভর কৃষ্ণনগরের একাধিক জায়গায় একা ঘুরতে দেখা যায় নাবালিকাকে। রাত ন’টা নাগাদ কলেজ মাঠের আশেপাশের সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সে। এদিকে সূত্র বলছে, ওই এলাকাতেই ছিল ধৃত যুবকও। কিন্তু দিনভর এলাকায় ছিলেন না তিনি। এক বান্ধবীর সঙ্গে রানাঘাটে গিয়েছিলেন। তার পর? সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কি অশান্তি চরম আকার নেয়?

তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছেন, টাকা নয় তৃতীয়জনকে কেন্দ্র করেও অশান্তি তৈরি হয়ে থাকতে পারে যুগলের মধ্যে। এক পর্যায়ে তা বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। অনুমান, ১৬ তারিখ রাতে প্রবল অশান্তির পরই বিচ্ছেদ হয় মৃতার। এর পরই সোশাল মিডিয়ায় স্টেটাস দেয় সে। লেখে, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এর পরই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে নাবালিকা। ওই রাতে নাবালিকা কোনও দোকান থেকে কেরোসিন কিনেছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ফলত খুন নাকি বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় আত্মহত্যা, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ