Advertisement
Advertisement
electricity

একবছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন এলাকা, তবু মেটাতে হচ্ছে বিল! চরম সমস্যায় গ্রামবাসীরা

দ্রুত ওই এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

There is no electricity in the area, but the bill has to be paid! | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 11, 2020 1:04 pm
  • Updated:October 11, 2020 1:04 pm   

ধীমান রায়, কাটোয়া: আশপাশের জনবসতি বিদ্যুতের (Electricity) আলোয় ঝলমল করে। কিন্তু সূর্য ডুবতেই অন্ধকারে ডুবে যায় ভাতারের (Bhatar) তিনটি পাড়া। প্রায় ৬০- ৬৫ টি পরিবারকে রাত কাটাতে হয় হ্যারিকেন বা মোমবাতির আলোয়। টানা একবছর ধরে এমনভাবেই চলছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত, বিদ্যুৎ দপ্তর কাউকে জানিয়েই কোনও লাভ হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওরগ্রামের আদিবাসীপাড়া , হাফেজপাড়া, ডিস্কোপাড়া ও রায়পাড়ার বাসিন্দারা এই বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছেন। রায়পাড়ার কিছুটা অংশে বিদ্যুৎ থাকলেও বাকি তিনটি পাড়া পুরোপুরি অন্ধকার। গ্রামবাসীরা জানান, এর আগে ট্রান্সফরমার দু’বার খারাপ হয়ে গেলে বদলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছর ধরে বিকল ট্রান্সফরমারটি ওই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। হাফেজ পাড়ার বাসিন্দা শেখ আলম জানান, বহুবার তাঁরা বিদ্যুৎদপ্তরে গিয়েছেন ট্রান্সফরমার বদলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনও আবেদনে কাজ হয়নি। অথচ প্রতিমাসে গড়ে বিদ্যুতের বিল আসে। পরিষেবা না পেয়েও সেই বিল মেটাতে হয়। এলাকার বাসিন্দা প্রদ্যুৎ ঘোষ বলেন, “বিদ্যুৎ অফিসে গেলেও আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। দুর্ব্যবহার করা হয়।”

Bhatar-2

[আরও পড়ুন: ‘অনেক খেয়েছেন, ৬ মাস খাওয়া বন্ধ রাখলে আরও সুযোগ পাবেন’, পরামর্শ দিয়ে বিতর্কে উদয়ন গুহ]

ওরগ্রামে রয়েছে বিদ্যুৎদপ্তরের পাওয়ার হাউস। এই পাওয়ার হাউসের পিছনেই ওই তিনটে পাড়া যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার! ঘটনার কথা স্বীকার করে সাহেবগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের প্রধান বিনয় ঘোষ বলেন, ” ট্রান্সফরমারে কারণে ৫০-৬০টি পরিবার খুব কষ্টে আছে। আমরাও চেষ্টা করছি বিকল ট্রান্সফরমার বদলে নতুন ট্রান্সফরমার যাতে লাগানো যায়।” তবে এবিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে জানান ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, তাকে কেউ এই বিষয়ে কিছু বলেনি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, ” বিষয়টি শুনেছি। যত তাড়াতাড়ি তিনটি পাড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দ্রত নেওয়া হবে।” তবে আদৌ কি আশ্বাস ফলপ্রসূ হবে? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।

ছবি: জয়ন্ত দাস

[আরও পড়ুন: উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ-সহ ৮ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ