ফাইল চিত্র
সুমন করাতি, হুগলি: “আমরা ভালো খেলতে পারি। ভালো খেলোয়ার আছে আমাদের।” শ্রীরামপুরে গিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে রাজনৈতিক তরজা আরও বাড়িয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার! শ্রীরামপুরে গিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রীতিমতো তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচাও দিলেন। এসআইআর হবেই। জোর গলায় সেই কথাও বলেন বিজেপি নেতা। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। একাধিকবার সেই কথাও বলতে শোনা গেল সুকান্তকে।
সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে সুকান্ত মজুমদারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। শ্রীরামপুরে গেলে ‘দেখে’ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে রাজনৈতিক আকচাআকচিও শুরু হয়েছিল। আজ, শনিবার হুগলির শ্রীরামপুরে গিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৈদ্যবাটিতে একটি কর্মিসভায় যোগ দিলেন। শুধু তাই নয়, এলাকায় একটি বাইক র্যালিতেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন। এক কিলোমিটার রাস্তা নিজেই বাইক চালান কেন্দ্রীয় প্রতিদ্বন্দ্বী। এরপরই তিনি বলেন, “বাইক মিছিল করে এলাম। কল্যাণদা আমাকে তুই-তোকারি করেছেন। কিন্তু আমি কল্যাণদাই বলব।” বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, সাংসদের কথার বিশেষ পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই।
বাংলায় এসআইআর হবেই। সেই কথা ফের জোর গলায় দাবি করলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবেই। অনুব্রত মণ্ডল বা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ বাঁচাতে পারবে না। এসআইআর করছে নির্বাচন কমিশন, বিজেপি করছে না।” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলের উদ্দেশ্য একটাই। সংখ্যালঘু মানুষদের বিভ্রান্ত করে রাস্তায় নামানো। এসআইআর নিয়ে প্রতিরোধ হলে সিআইএসএফ গুলি চালাতে পারে।” তৃণমূল মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতির অপেক্ষা করছে বলে কটাক্ষও করেছেন তিনি।
বিতর্কে উসকে সুকান্ত বলেন, “আগুনকে ভয় পাই না। পুলিশ না থাকলে ১৫ মিনিটে তৃণমূলের সব অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ সরিয়ে এস, দেখব কার কত ক্ষমতা।” তিনি আরও বলেন, “আমরা ভালো খেলতে পারি। ভালো খেলোয়ার আছে আমাদের। আমাদের ঝাণ্ডায় ডাণ্ডা আছে।” বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে খেলবেন। পুলিশ, কোর্ট সুকান্ত মজুমদার বুঝে নেবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.