Advertisement
Advertisement
Visva Bharati University

বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ত্তে থাকা রাস্তা ফিরিয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী, জোরাল রাজ্য-বিশ্বভারতী সংঘাত

পাঁচিল তোলা নিয়ে শ্রীনিকতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদকে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Row over road under Visva Bharati University ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 28, 2020 5:42 pm
  • Updated:December 28, 2020 5:42 pm   

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ত্তে থাকা কালীসায়র থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত রাস্তাটি ফিরিয়ে নিল রাজ্য সরকার। চিঠিতে স্থানীয়দের থেকে অনুরোধ পাওয়ামাত্রই এই সিদ্ধান্ত নেন বলেই বোলপুরের প্রশাসনিক সভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

উপাচার্য থাকাকালীন কালীসায়র থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত রাস্তাটি রাজ্যের কাছ থেকে চেয়েছিলেন স্বপন দত্ত (Swapan Dutta)। বছরখানেক আগে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। তবে মাসছয়েক আগে থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল। সেখানে ব্যারিকেডও লাগিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তাটি কোনওভাবে সকলে ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় যান নিয়ন্ত্রণ। এমনকী ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতীর ছবিও তোলা যাবে না বলে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তার ফলে ওই রাস্তার দু’পাশে বসবাসকারীরা অত্যন্ত সমস্যায় পড়েন। একাধিকবার বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অমর্ত্য সেন-সহ অনেকেই চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: বছর পেরিয়েছে, ১৫০ কোটি টাকার জলপ্রকল্পেও তৃষ্ণা মেটেনি চল্লিশ হাজার মানুষের]

সোমবার বোলপুরে প্রশাসনিক সভার ঠিক আগে এই সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেই চিঠিতে সই করেন। এরপর প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন, কালীসায়র থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত রাস্তাটি বিশ্বভারতী থেকে ফিরিয়ে নিল রাজ্য সরকার। এছাড়াও যে সমস্ত এলাকায় পাঁচিল তোলা হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখে শ্রীনিকতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদকে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। এই সিদ্ধান্তে নতুন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্য সরকার যে সংঘাতে জড়াল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

[আরও পড়ুন: ‘আপনার সমর্থনে ভরসা পেলাম’, প্রতীচী জমি বিতর্ক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি অমর্ত্য সেনের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ