শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: টেট শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল প্রশ্নপত্র। গুঞ্জন শুরু হয়েছিল প্রশ্ন ফাঁসের। পরীক্ষা শেষ হতেই দেখা গেল, সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া প্রশ্ন আর আসল প্রশ্ন হুবহু এক। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। যদিও ডিআই জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত হবে। এদিকে অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
নির্ধারিত সূচি মেনে রবিবার ঠিক বেলা ১২ টায় শুরু হয় টেট। কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয় পরীক্ষা। এর ঘণ্টাখানেক পর থেকেই জলপাইগুড়ি জেলার বহু মানুষের মোবাইলে ঘুরতে দেখা যায় একটি প্রশ্ন পত্র। তাতেই মাথা চাড়া দেয় প্রশ্নফাঁসের গুঞ্জন। বেলা ২ টো বেজে ৩০ মিনিট নাগাদ পরীক্ষা শেষ হয়। এর পরই দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া প্রশ্ন ও আসল প্রশ্ন, অর্থাৎ যে প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে, তা হুবহু এক। এর পরই ক্ষোভ উগরে দেন পরীক্ষার্থীরা। তারা হাই কোর্টে যাবেন বলে জানান। একই সঙ্গে তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত এবং ফের পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।
বাবলু রহমান নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, এটা পরীক্ষার নামে প্রহসন হচ্ছে। মৌমিতা সরকার নামে অপর এক পরীক্ষার্থী বলেন, “এতো চেকিং সবই বৃথা। জীবন নিয়ে ছেলে খেলা চলছে।” তবে এদিন প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈক্ষ্যমোহন রায়। তিনি সাফ বলেন, “এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে।” প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি ডি আই প্রাইমারি শ্যামল চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযোগ তার কাছে এখনও যায়নি। গেলে খতিয়ে দেখা হবে। এপ্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সহ-সচিব বলেন, “পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১২ টায়। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ঢুকেছে ১১ টায়। শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে যদি প্রশ্ন ভাইরাল হয়েও থাকে, সেটাকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছুই নেই। কোনও প্রভাব পড়বে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.