Advertisement
Advertisement
পুল টেস্টিং

কার শরীরে লুকিয়ে করোনা, হদিশ পেতে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ বাংলার

এই পথে হেঁটেই করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছে কেরল।

Pool testing starts in West Bengal to find COVID-19 carrier
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 19, 2020 2:05 pm
  • Updated:April 19, 2020 2:57 pm  

রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায়: আক্রান্তদের থেকে বাহকদের নিয়েই চিন্তা বেশি। তাঁদের থেকেই ছড়াচ্ছে মারণ জীবাণু। তাই এবার তাঁদের খোঁজেই তৎপর হল কেন্দ্র। পুল স্যাম্পেল পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর (ICMR)। টেস্টিং কিট কম থাকলেও এই পদ্ধতিতে দেশের সিংহ ভাগ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব বলে মত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের। পুল স্যাম্পেল টেস্টিংয়ের মাধ্যমে খরচ বাঁচিয়ে কম সংখ্যক কিটের সাহায্যে পরীক্ষা করা যাবে। এর ফলে করোনা আক্রান্তদের খোঁজে রাজ্যজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। একইসঙ্গে অনেক বেশি স্ক্রিনিং করা সম্ভব হবে। এ রাজ্যেও এবার পুল স্যাম্পেল টেস্ট করা হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

Advertisement

গত ১৩ এপ্রিল এই পুল স্যাম্পেল টেস্ট নিয়ে আইসিএমআর গাইড লাইন দিয়েছিল। কেরলে এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষায় এসেছে সাফল্য। সেই কেরল মডেলকেই অনুসরণ করতে চাইছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ রিসার্চ। বিশেষজ্ঞদের কথায়, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এরকম অনেকের শরীরেই করোনার জীবাণু রয়েছে। তারা সেই জীবাণু বয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ তাদের কোনও লক্ষণ ধরা পড়ছে না। এইধরণের বাহকরাই এখন দেশজুড়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ। কাজেই, সেই সমস্ত জীবাণু বাহকদের আগে চিহ্নিত করা জরুরি।

[আরও পড়ুন : ‘লকডাউনে ভাঁড়ারে টান, দিন চলবে কী করে?’ খাবারের দাবিতে পথে শ্রমিকরা]

এই পুল স্যাম্পেল টেস্টটা কী?
২ থেকে ৫ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে সেটাকে মিশিয়ে একটা নমুনা বানানো হবে। এবার সেই সিঙ্গল ইউনিটটা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। পরীক্ষার পর যদি জানা যায় সেই সিঙ্গল ইউনিট এর নমুনা করোনা নেগেটিভ তাহলে ওই দুই বা পাঁচজন ব্যক্তিকে নেগেটিভ ধরে নেওয়া হবে। আর যদি তাদের প্রত্যেকের মিশ্রিত নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাহলে প্রত্যেকের আবার আলাদা করে পরীক্ষা হবে। আইসিএমআর এর গাইড লাইন বলছে, যেসব এলাকার জনসংখ্যার ২ শতাংশের কম এবং ৫ শতাংশের মধ্যে করোনা আক্রান্ত সেখানে এই পুল স্যাম্পেল টেস্ট করা যেতে পারে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরও এই পুল স্যাম্পেল টেস্টকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। আরও কিছুটা সতর্ক হয়েই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর চাইছে জনসংখ্যার ২ শতাংশ কম আক্রান্ত এলাকাতেই এই পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা করতে। বাকি সব জায়গায় প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদা পরীক্ষা হবে।

[আরও পড়ুন : ফের সলিলসমাধি ফ্লাইঅ্যাশ ভরতি বাংলাদেশি বার্জের, ৭ নাবিককে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে]

এই পুল স্যাম্পেল টেস্টে প্রথমত কিট কম লাগছে। দ্বিতীয়ত, খরচ কম। তৃতীয়ত, লোকবলও কম লাগবে। অংকের হিসাব বলছে এই পদ্ধতিতে চারগুন বেশি টেস্ট করা সম্ভব হবে। দ্রুত চিহ্নিত করাও যাবে। বর্তমানে এ রাজ্যে পরীক্ষাগারে একসঙ্গে ৯০ থেকে ১০০টি নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা রয়েছে। আর পুল স্যাম্পেল টেস্ট হলে একসঙ্গে অনেকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট জানা যাবে। এই পুল স্যাম্পেল টেস্ট চালুর বিষয়টি শনিবার নির্দেশিকা আকারে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই করোনা পরীক্ষায় ব়্যাপিড টেস্টে জোর দিয়েছে রাজ্য। করোনা উপসর্গ না থাকলেও কোভিড টেস্ট হবে। যেহেতু কিটের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম তাই এবার আরও বেশি করে করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত করতে আইসিএমআর-এর গাইড লাইন মেনে পুল স্যাম্পেল টেস্টের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement