প্রতীকী ছবি
বাবুল হক, মালদহ: কিশোরী প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ। আজ, সোমবার মালদহ জেলা আদালত এই সাজা শুনিয়েছে। দোষীর নাম শামিম আখতার। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ১৮ জুন।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ থানা এলাকার একটি গ্রামে ওই কিশোরী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গ্রামেরই যুবক শামিম আখতারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে খবর। ঘটনার রাতে প্রেমিকের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সে। তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ওই কিশোরীর মৃতদেহ গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিক শামিম ও তার বাবাকে। পুলিশি জেরায় ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করে শামিম। ধৃতের বিরুদ্ধে ৩৬৪ ধারায় খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ, ৩০২ ধারায় খুন, ২০১ ধারায় মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা, পকসো আইনের ৬ ধারায় নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের মামলা রুজু হয়।
আইনজীবী অসিতবরণ বোস জানান, ঘটনায় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। প্রেমের সম্পর্ক থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার রাতে শামিম ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যৌনাঙ্গে নির্যাতনও চালানো হয়! পরে কিশোরীরে শ্বাসরোধ করে খুন করে শামিম। প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহে ইট বেঁধে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল রাতেই। আদালতে মামলা শুরু হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনার চার্জশিট ফাইল করে। ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শামিম আখতারকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পকসো কোর্টের বিচারক রাজীব সাহা শামিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই টাকা কিশোরীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে বলে আদালতের নির্দেশ। বিচারক দোষীর বাবাকে বেকসুর খালাস করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.